শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা
প্রতিদিন আস্তে আস্তে মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে আর পরিবার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রায় সব জায়গাতেই। একদিকে এটা যেমন সুফল বয়ে আনে, তেমনি এর কুফলও আছে। তরুণ সমাজ আসক্ত হয়ে পড়ছে নেশার দিকে। শহর থেকে এর ব্যাপ্তি এখন গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্রামের এমনি একজন গায়ক সব্দর আলী ভূইয়া। কিশোর বয়স থেকেই তিনি যাত্রা গানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটতো গান করে। গানের কথায় উঠে আসতো মাটির কথা, মানুষের কথা। নিষিদ্ধের প্রতি আকর্ষণ তাকে একদিন নিয়ে আসে গানের জগত থেকে নেশার জগতে। এই নেশাই গ্রাস করে নেয়, তার মনের খোরাক গানকে। পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এই নেশা। গাজা দিয়ে শুরু হলেও, এক সময় ইঞ্জেকসনের মাধ্যমে মাদকে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সব্দর আলী’র মত আরো অনেকেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে নেশার ছোঁবলে। ফিঁকে হয়ে যায় তাদের জীবনের সাজানো স্বপ্নগুলো।
সাধা্রণত ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই মাদকের দিকে বেশী ঝুঁকে পড়ছে। ২০০৯ সালের সর্বশেষ একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহনকারীদের সংখ্যা ২১৮০০ থেকে ২৩৮০০। সবচেয়ে আশংকাজনক তথ্য হচ্ছ্ শুধুমাত্র ঢাকায় মহিলা মাদক সেবীদের অনুপাত ২০.৬ শতাংশ। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আমির হোসেন-এর মতে, ডিপ্রেশন, পরিবার থেকে দুরে থাকা, মানসিক আঘাতসহ আরও নানা কারনে একজন মানুষ ধীরে ধীরে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এই সব মাদক সেবীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে FHI360, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে মধুমিতা প্রকল্পে কাজ করছে ২০০৯ সাল থেকে। যার অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহনকারীদের নিয়ে। বাংলাদেশ সরকারের ১৬টি মন্ত্রণালয়ের সাথেও যৌথভাবে কিছু প্রকল্প পরিচালনা করছে FHI360.
অবাক করার মত হলেও সত্য, সমাজের অনেক অভিভাবক জানেন না, তাঁর সন্তানের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার খবর। তাঁর ছেলেটি অথবা মেয়েটি কোথায়, কার সাথে মিশছে সেই খবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। এতে করে পুরো পরিবারের উপর নেমে আসছে অন্ধকারের কালো ছায়া।
নেশার অন্ধকারের গলিপথ থেকে অনেকেই আলোকিত দিগন্তের পথে উঠে আসতে পেরেছেন। আবার অনেকে এখনও চেষ্টা করছেন ফিরে আসতে। আমাদের সবার উচিত তাদের সাহায্য করা, অপরাধীকে নয়, অপরাধকে ঘৃনা করা।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অফ আমেরিকা
প্রতিদিন আস্তে আস্তে মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে আর পরিবার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রায় সব জায়গাতেই। একদিকে এটা যেমন সুফল বয়ে আনে, তেমনি এর কুফলও আছে। তরুণ সমাজ আসক্ত হয়ে পড়ছে নেশার দিকে। শহর থেকে এর ব্যাপ্তি এখন গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্রামের এমনি একজন গায়ক সব্দর আলী ভূইয়া। কিশোর বয়স থেকেই তিনি যাত্রা গানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটতো গান করে। গানের কথায় উঠে আসতো মাটির কথা, মানুষের কথা। নিষিদ্ধের প্রতি আকর্ষণ তাকে একদিন নিয়ে আসে গানের জগত থেকে নেশার জগতে। এই নেশাই গ্রাস করে নেয়, তার মনের খোরাক গানকে। পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এই নেশা। গাজা দিয়ে শুরু হলেও, এক সময় ইঞ্জেকসনের মাধ্যমে মাদকে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সব্দর আলী’র মত আরো অনেকেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে নেশার ছোঁবলে। ফিঁকে হয়ে যায় তাদের জীবনের সাজানো স্বপ্নগুলো।
সাধা্রণত ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই মাদকের দিকে বেশী ঝুঁকে পড়ছে। ২০০৯ সালের সর্বশেষ একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহনকারীদের সংখ্যা ২১৮০০ থেকে ২৩৮০০। সবচেয়ে আশংকাজনক তথ্য হচ্ছ্ শুধুমাত্র ঢাকায় মহিলা মাদক সেবীদের অনুপাত ২০.৬ শতাংশ। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আমির হোসেন-এর মতে, ডিপ্রেশন, পরিবার থেকে দুরে থাকা, মানসিক আঘাতসহ আরও নানা কারনে একজন মানুষ ধীরে ধীরে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এই সব মাদক সেবীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে FHI360, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে মধুমিতা প্রকল্পে কাজ করছে ২০০৯ সাল থেকে। যার অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহনকারীদের নিয়ে। বাংলাদেশ সরকারের ১৬টি মন্ত্রণালয়ের সাথেও যৌথভাবে কিছু প্রকল্প পরিচালনা করছে FHI360.
অবাক করার মত হলেও সত্য, সমাজের অনেক অভিভাবক জানেন না, তাঁর সন্তানের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার খবর। তাঁর ছেলেটি অথবা মেয়েটি কোথায়, কার সাথে মিশছে সেই খবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। এতে করে পুরো পরিবারের উপর নেমে আসছে অন্ধকারের কালো ছায়া।
নেশার অন্ধকারের গলিপথ থেকে অনেকেই আলোকিত দিগন্তের পথে উঠে আসতে পেরেছেন। আবার অনেকে এখনও চেষ্টা করছেন ফিরে আসতে। আমাদের সবার উচিত তাদের সাহায্য করা, অপরাধীকে নয়, অপরাধকে ঘৃনা করা।