বাংলাদেশে দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্তদের ভোটাধিকার হরণ করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন এমন ৪৭ জনের নাম, ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের সেলিম হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন এটা নির্বাচন কমিশনের একটি প্রস্তাব মাত্র। তারাতো আইন তৈরী করতে পারে না। আইন মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়মে যদি এটিকে আইন হিসাবে পাশ করে তবে তখন সাজাপ্রাপ্তদের ভোটাধিকার হরণ করার বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দালাল আইনে যারা সাজাপ্রাপ্ত তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না। তবে ভোটাধিকার হরণ করার বিষয়টি সংবিধানের কোনো ধারাতেই উল্লেখ করা হয়নি।আর এটি আইন হিসাবে পাশ হলে মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কতোটা হবে তা নিয়ে প্রশ্নো বিতর্ক উঠতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের ৪৭ জনের তালিকা সম্পর্কে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আইন হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই তালিকা করা কতোটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে তার প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া এই আইনে সাজাপ্রাপ্ত শুধু ৪৭ জন নয়, কয়েক শত। তালিকা করলে সকলের নামই আসবে।
১৯৭২এর সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন আর্টিকেল ৬৬ এ বলা হয়েছে কারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে কারা পারবে না। তার এক যায়গায় বলা হয়েছিল দালাল আইনে যারা অভিযুক্ত তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। পঞ্চম শংশোধনীতে এটি বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাহাত্তুরের সংবিধান পূন:প্রবর্তন করা হয়। তাতে বলা হয় দালাল আইনে যারা অভিযুক্তরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না।
বাংলাদেশের আর কোন আইনে অভিযুক্ত হলে ভোটাধিকার হরন করার ব্যাপার রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি নেতিবাচক জবাব দেন।
আসিফ নজরুল বলেন এটা নির্বাচন কমিশনের একটি প্রস্তাব মাত্র। তারাতো আইন তৈরী করতে পারে না। আইন মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়মে যদি এটিকে আইন হিসাবে পাশ করে তবে তখন সাজাপ্রাপ্তদের ভোটাধিকার হরণ করার বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দালাল আইনে যারা সাজাপ্রাপ্ত তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না। তবে ভোটাধিকার হরণ করার বিষয়টি সংবিধানের কোনো ধারাতেই উল্লেখ করা হয়নি।আর এটি আইন হিসাবে পাশ হলে মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কতোটা হবে তা নিয়ে প্রশ্নো বিতর্ক উঠতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের ৪৭ জনের তালিকা সম্পর্কে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আইন হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই তালিকা করা কতোটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে তার প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া এই আইনে সাজাপ্রাপ্ত শুধু ৪৭ জন নয়, কয়েক শত। তালিকা করলে সকলের নামই আসবে।
১৯৭২এর সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন আর্টিকেল ৬৬ এ বলা হয়েছে কারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে কারা পারবে না। তার এক যায়গায় বলা হয়েছিল দালাল আইনে যারা অভিযুক্ত তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। পঞ্চম শংশোধনীতে এটি বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাহাত্তুরের সংবিধান পূন:প্রবর্তন করা হয়। তাতে বলা হয় দালাল আইনে যারা অভিযুক্তরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না।
বাংলাদেশের আর কোন আইনে অভিযুক্ত হলে ভোটাধিকার হরন করার ব্যাপার রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি নেতিবাচক জবাব দেন।