অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরান-সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ারা ইরাকের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে: বলছেন পর্যবেক্ষকরা


ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠকের সময় তোলা ছবি। সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠকের সময় তোলা ছবি। সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমির উপর গত ৭ই নভেম্বরের হত্যা প্রচেষ্টার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সন্দেহের তীর ব্যাপকভাবে ইরান-সমর্থিত ইরাকি শিয়া মিলিশিয়াদের উপর পড়ছে, যারা গত মাসের সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত বাজেভাবে হেরে গেছে।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পর্যবেক্ষক খালেদ আবু জাহর সৌদি আরব নিউজ দৈনিকে লিখেছেন, ভোটের ফলাফল এটাই দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইরাকি জনগণ মিলিশিয়াদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আর এটা তেহরানের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে: “আমাদের রাষ্ট্রের সাথে যেই-ই ভাবে সংযুক্ত থাকুন , আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না”।

আবু জাহর যুক্তি দেন, ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার একমাত্র উপায় হল, “অবিলম্বে মিলিশিয়াদের বেআইনি ঘোষণা করা এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণে বাধ্য করা”। তিনি আরও বলেছেন, “যদি মিলিশিয়াদের নির্মূল করা সম্ভব না হয়, এবং তাদের সার্বভৌমত্বের ঘোষণাকে অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে ইরাকের জন্য টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে”।

ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের সমালোচনাকারী ৩০ জন ইরাকি কর্মীকে গত তিন বছরে হত্যা করা হয়েছে-উল্লেখ করে, তিনি প্রশ্ন করেছেন: “এই হুমকির বিরুদ্ধে ইরাকিরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগে আরও কত হত্যা এবং অপহরণ প্রয়োজন?”

XS
SM
MD
LG