সিরিয়ার বর্তমান সংকটাবস্থা এখন ক্রমশ:ই বিস্তৃততরো পরিসরে পরিব্যাপ্ত হচ্ছে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্স পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দ্বিমুখি এক পরিকল্পনার কথা ঘোষনা করেছে।এ পরিকল্পনায় সন্ধানী বিমান উড়ান এবং সম্ভবত: বিমান থেকে ইসলামি স্টেইট গ্রুপকে নিশানা করে আঘাত হানার বিষয়টিও শামিল থাকছে এবং সেই একই সঙ্গে সিরিয়ার এবং অন্যান্য যেসব শরনার্থী প্রাণভয়ে য়ুরোপ পানে ধেয়ে গিয়েছেন সেই তাঁদের জন্যে ফ্রান্স তার ভূখন্ডে প্রবেশের দুয়ারও উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। প্যারিস থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ভয়েস অফ এ্যামেরিকার সংবাদদাতা লিসা ব্রায়ান্ট বলছেন-সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেইট অবস্থানগুলো লক্ষ করে ফ্রান্স ঐসব সন্ধানী বিমান উড়ান পরিচালনা শুরু করবে মঙ্গলবার থেকে- ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলান্দ তেমনটিই উল্লেখ করেছেন। এবং ঐসব সন্ধাণী বিমান উড়ানের পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে- পরিণতিতে তা রূপ নিতে পারে সন্ত্রাসী ঐ গ্রুপটির ওপর আঘাত হানার মধ্যে দিয়ে।
ব্যাপক বিস্তৃত পরিসরের এক সংবাদ সম্মেলনে ওলান্দ বলেন- ফ্রান্স ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে এবং সিরিয়ার গণ মানুষের বিরুদ্ধে ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপ কি কি করবার পরিকল্পনা করছে সেসব জানতেই এহেন বিমান তৎপরতার কথা ভাবা হয়েছে।তবে তিনি যে ফ্রান্সের সেনাদের পাঠানোর কথা ভাবছেন না এমোন একথাটাও পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে সিরিয়ার ও অন্যান্য স্থানের হাজার হাজার শরনার্থী আশ্রয়ের সন্ধানে পদযাত্রায় এগিয়ে চলেছেন অস্ট্রিয়া ও জার্মানী অভিমুখে- নিরাপদে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসবার পর।এ বছরেই সাড়ে তিন লক্ষ শরনার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন এভাবেই।দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের পর এরকম শরনার্থী আর কখনোই দেখা যায় নি।
ওলান্দ বলেন- পরবর্তী বছর দুয়েকের ভেতর য়ুরোপিয় য়ুনিয়নের নির্বাহী কতৃপক্ষ যে এক লক্ষ ষাইট হাজার শরনার্থীকে ভাগ করে বিভিন্ন দেশে পাঠানোর চিন্তা করছে ফ্রান্স তার মধ্যে থেকে ২৪ হাজার আশ্রয় প্রার্থীকে নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এই সদ্য যাঁরা জার্মানী পৌঁচুচ্ছেন তাঁরাও এর মধ্যে শামিল থাকতে পারেন।
ওলান্দ বলেন-আশ্রয় প্রার্থনার অধিকার ফ্রান্স ও তার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ । য়ুরোপের পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলবর্তী দেশগুলোর দেওয়াল ঘেরা-বদ্ধ দুয়ার নীতির বিরোধীতায় তিনি হূঁশিয়ারী ব্যক্ত করেন।
ওদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সকলেই এখন বিশ্বাস করেন যে,মধ্যপ্রাচ্যের শত্রু যারা তথাকথিত ইসলামিক স্টেইট তাদেরই সৃষ্টি।বিশ্লেষকদের ধারণা ঐ জঙ্গী গোষ্ঠীর নানাবিধ কর্মকান্ড মানুষকে নানারকম ধারনা দেয় যে এই দায় চাপানোর খেলা সাম্প্রদায়িক বিভেদকে আরো জোরদার করছে- যাতে করে ঐ জঙ্গীদের মোকাবেলাই দু:সাধ্য হয়ে পড়ে। এরই ওপর রিপোর্ট প্রনয়ন করেছেন ভয়েস অফ এ্যামেরিকার হেদার মার্ডক।