সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই দিনের ঐতিহাসিক সফর শেষে সোমবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফটালি বেনেট বলেছেন তিনি ‘অত্যন্ত আশাবাদী’। সফরে তিনি আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মেদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোন ইসরাইলি নেতার এটিই প্রথম সফর। এক বছর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে করা আব্রাহাম চুক্তির আওতায় দুই দেশ সম্পর্ক স্থাপন করলো। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সফরে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেনেট বলেন, “আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় ইসরাইল-আরব আমিরাত অংশীদারিত্বে অভূতপূর্ব সম্ভাবনা লক্ষণীয়”। বিবৃতিতে ঐ অঞ্চলে চলমান দুটি বিষয় – ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী এবং ইসরাইল ফিলিস্তিন সম্পর্ক নিয়ে কোনকিছু উল্লেখ করা হয়নি। ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইরান বলেছে তারা এটা করছে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যে। ইরানের সঙ্গে ভিয়েনায় বর্তমান আন্তর্জাতিক আলোচনায় তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী দ্রুততর হতে পারে বলে দুই দেশ চিন্তিত। সংকটাপন্ন ভিয়েনা আলোচনায় ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা চুক্তি, যাতে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বদলে পারমাণবিক কর্মসূচী ১০ থেকে ১৫ বছর সীমিত করার শর্ত দেয়া হয়েছিল, তা পুনরায় শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, চুক্তিকে দুর্বল এবং ইরানের প্রতি পক্ষপাতমূলক আখ্যা দিয়ে, ২০১৮ সালে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম তুলে নেন। তারপর থেকে ইরান তার প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরতে শুরু করে। বেনেট বলেন, “আমি অনেক আশা নিয়ে ইসরাইলে ফিরে যাচ্ছি এজন্যে যে কিভাবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সেই প্রশ্নে এই সম্পর্ক একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে”। বেনেট ছয় মাস আগে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হন। (প্রতিবেদনটির কিছু তথ্য এপি ও এএফপি থেকে নেয়া)সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঐতিহাসিক সফরের পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী 'অত্যন্ত আশাবাদী'
