অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্ভোধনে আমি গর্বিত: মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর


যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলি দূতাবাসকে সোমবার তেল আভিভ থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে গেছে। এদিকে, গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং কয়েকশো আহত হয়েছেন।

সহিংস ঐ বিক্ষোভ যেখানে চলছে, সেখান থেকে একশো কিলোমিটারের চেয়ে কম দুরত্বে জেরুজালেমে অবস্থিত ঐ দূতাবাস যখন খোলা হয় তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত ডিসেম্বরে বিশ্বের অনেক দেশের সরকারের মনোভাবকে উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে তেল আভিভ থেকে সরিয়ে নেওয়ার দীর্ঘমেয়াদী যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালা তুলে ধরেন। তেল আভিভে এখনো বেশিরভাগ দেশের ইসরায়েলি দূতাবাস রয়েছে।

জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার ঐ অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিদলের সদস্য Jared Kushner বলেন, "আগের প্রেসিডেন্টরা যখন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেননি, তখন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তা করেছেন। কারন যখন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তখন তিনি তা পালন করেন।"

‌এক ভিডিও বার্তায় ডনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমে আমেরিকান কূটনৈতিক চৌকি সরিয়ে নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, "একটি দীর্ঘ সময় আসছে, জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী।"

যুক্তরাষ্ট্রের নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"।

এর আগে, ওয়াশিংটন থেকে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, "ইসরায়েলের জন্য একটি শুভ দিন!" কিন্তু তিনি সহিংসতার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আজ আমি জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্ভোধনে গর্বিত। এই গুরুত্বপূর্ন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি পূর্ন করলো। গত বছর ৬ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তার কথায় ৭০ বছর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের আমলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং সেই সময় থেকে জুরুজালেমকে তার রাজধানী হিসাবে ঘোষনা করেন, যা ছিল প্রাচীন কালে ইহুদী প্রতিষ্ঠিত রাজধানী।

আরব নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানান। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী Saad Hariri যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে উস্কানীমূলক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এটিকে "বিরাট এক লজ্জাজনক দিন" বলে বর্ণনা করেছেন।

গাজায় দূতাবাসের উদ্বোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হন এবং গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, অন্তত ৫০০ মানুষ আহত হয়েছে। তার মধ্যে কয়েক ডজন গুলিতে আহত হন। ছয় সপ্তাহের এই বিক্ষোভে ৬০ জনের বেশী ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।

XS
SM
MD
LG