হোয়াইট হাউজে সাম্প্রতিক এক বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার যৌথ বিবৃতি তাইওয়ানে কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনার উদ্রেক করেছে যে চীনের আক্রমণের বিরুদ্ধে ঐ দ্বীপটির প্রতিরক্ষায় জাপান কতটা সাহায্য করতে পারবে। ১৬ই এপ্রিল তারিখে হোয়াইট হাউজ তাদের ওয়েবসাইটে লেখে সুগা এবং বাইডেন তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। কোন কোন বিশ্লেষক বলছেন, এই যৌথ বিবৃতি এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে প্রয়োজন হলে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় জাপান সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে শুধু মাত্র যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে অভিযানে।
তাইওয়ান এই যৌথ বিবৃতিকে দ্রুত স্বাগত জানায়। ১৭ই এপ্রিল তাইপেইতে পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলে, “ আমাদের সরকার এটা দেখে আনন্দিত যে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান আঞ্চলিক নিরাপত্তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। মন্ত্রকের ঐ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা বর্তমানের শক্ত ভীত আরও শক্তিশালী করে তুলবো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অভিন্ন মূল্যবোধ এবং নিয়ম ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাবো যাতে করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখা যায়”।
যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর সুগা তাইওয়ান সম্পর্কে তাঁর পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। জানা গেছে বুধবার টোকিওতে কর্মকর্তারা বিষয়টি পরিস্কার করে বলেন যে, জাপান সে দেশে কোন সৈন্য পাঠাবে না তবে সংঘর্ষ বাঁধলে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায়োগিক সহায়তা দিতে পারে। জাপানের জিজি বার্তা সংস্থা জানিয়েছ্ জাপানি সংসদের একজন সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সুগা বলেন যে বাইডেনের সঙ্গে ঐ যৌথ বিবৃতিতে সামরিক সম্পৃক্ততার কথা ভেবে নেওয়া যায় না।
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও ৭০ বছরের পুরোনো চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল যাতে অভিন্ন বিপদের প্রতি উভয় দেশ ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উভয়ই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের নৌ শক্তির সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে তাইওয়ানকে বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে।