অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের  মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সাংবাদিক প্রবীর শিকদার  


আইসিটি আইনের অধীনে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে বাদ পড়ার পর সাংবাদিক প্রবীর সিকদার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন।
আইসিটি আইনের অধীনে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে বাদ পড়ার পর সাংবাদিক প্রবীর সিকদার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেনের দেয়া রায়ে ছয় বছর আগের এই মামলায় সাংবাদিক প্রবীর শিকদার খলাস পান। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে যাদেরকে এ মামলার 'ভিকটিম' বলা হয়েছে তাঁরা নিজেরা এ মামলা করেননি বা তঁদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন কেউ এ মামলার বাদী নন এবং এমনকি তাঁরা এ মামলায় সাক্ষীও ছিলেন না। মামলা করেছেন এমন একজন যার এ অভিযোগে মামলা দায়ের করার এখতিয়ারই নাই বলে আদালত উল্লেখ করেছে।

২০১৫ সালের ১৬ই আগস্ট দৈনিক বাংলা ৭১ এবং অনলাইন পত্রিকা উত্তরাধিকার-৭১ এর সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন ফরিদপুরের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার স্বপন পাল। ওই রাতেই পুলিশ তাঁকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং রিমান্ডে নেয়ার একদিন পর ১৯ শে আগস্ট তিনি জামিনে মুক্তি পান।

মামলার অভিযোগে বলা হয় সাংবাদিক প্রবীর শিকদার ২০১৫ সালের ১০ই আগস্ট ফেসবুকে তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়ায় মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মাদ মনির হোসেন ২০১৬ সালের ১৬ ই মার্চ আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ ঠা আগস্ট প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল এবং তার পরই বিচার কাজ শুরু হয়।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রবীর শিকদার সাংবাদিকদের বলেন তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনি বলেন সত্য ও ন্যায়ের জন্য তিনি সব সময় তাঁর লড়াই অব্যাহত রাখবেন। উল্লেখ্য, ফরিদপুরের রাজাকারদের নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে তাঁর লেখা ধারাবাহিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে ২০০১ সালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হলে তিনি পঙ্গু হয়ে পড়েন। হামলায় তিনি তাঁর একটি পা হারান এবং বর্তমানে তিনি প্রতিবন্ধী জীবনযাপন করছেন।

XS
SM
MD
LG