তালিবান আজ সতর্ক করে দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগের পর বিমান বন্দর কিংবা অন্যান্য স্থাপনা সুরক্ষার জন্য কোন দেশ যদি সেখানে সামরিক উপস্থিতি বহাল রাখে তা হলে তা হবে ভুল পদক্ষেপ এবং তালিবানের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির হুঁশিয়ারি বার্তা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ও ত্রাণ সংগঠনগুলো, যাদের সকলেরই মিশন কাবুলে তাদের কাছে একটি জিজ্ঞাসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ১১ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক বাহিনী সে দেশ ত্যাগ করলে, আফগান রাজধানীতে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করলে, তাদের লোকজনকে কি ভাবে নিরাপদে নিয়ে আসা যাবে। তুরস্কের ৫০০ জন সৈন্য আফগানিস্তানে রয়েছে এবং তারা সৈন্য প্রত্যাহারের সময় সীমার পরও কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পাহারা দেওয়ার জন্য তাদের পরিষেবার কথা জানিয়েছে। গত মাসে নেটোর এক বৈঠকে তুরস্ক এই প্রস্তাবটি দেয় বলে জানা গেছে।
শুক্রবার নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টল্টেনবার্গ জানান যে, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সুরক্ষিত প্রশাসনের জন্য ঠিক কি করা যায় সে সম্পর্কে তুরস্কসহ বিভিন্ন মিত্রদেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের পর যে কোন বিদেশি সৈন্য মোতায়েন প্রতিহত করতে তালিবান সংকল্প ব্যক্ত করেছে।