যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল প্রার্থীদের বিতর্ক, অনেকটা অ-প্রধান বলেই গণ্য করা হয়I তবে এ বছর সেই ধারাতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়I তার কারণটা একেবারেই সুস্পষ্টI
প্রথমতঃ গত সপ্তাহে, ৭৪ বছর বয়সী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনা সংক্রমণ এবং নানাবিধ অজানা প্রশ্ন,তাঁর প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী, জো বাইডেনের সতর্ক নির্বাচনী প্রচারণা,তাঁর বয়স, ইত্যাদি কারণে আমেরিকান জনগণ, অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নির্বাচনী জুটির প্রতি অনেকটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যারা প্রয়োজনে তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হতে পারবেনI
তবে কিছুক্ষন আগে শেষ হওয়া, দুই প্রার্থীর ভদ্রোচিত একমাত্র, বিতর্কটি, প্রশংসিত হয়েছেI
প্রথমেই ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী, সেনেটর হ্যারিস, কভিড ১৯ মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেনI তিনি বলেন, প্রথম থেকেই সরকারের উদাসীনতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ২,১০,০০০ জীবন নাশ হয়েছেI তিনি বলেন জো বাইডেনের সরকার প্রকৃত জনগণের ওপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে, শুধুমাত্র ধনীদের ওপরে নয়I সেনেটর হারিস বলেন, বৃহৎ সংখ্যায় জনগণ ইতিমধ্যেই ভোট প্রয়োগ করেছেন এবং নির্বাচনী দৌড় এখন আমাদের অনুকূলেI তিনি বলেন, বিগত প্রশাসনের অর্জিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ওপরে ভিত্তি করে, এই প্রশাসন তাঁদের সফলতার দাবি করে থাকেI
ওদিকে মাইক পেন্স, প্যারিস চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের পরেও দাবি করেন যে, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রেখেছেনI জবাবে সেনেটর হারিস বলেন, ক্যালিফর্নিয়া ও অন্যান্য রাজ্যের বনাগ্নি সর্বস্ব খুঁইয়ে নিলেও, সরকার, বন্য ব্যবস্থাপনার ওপরে তা চাপিয়ে দিয়েছেনI ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, বাইডেন-হারিস প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই কর বৃদ্ধি করবেI
তবে পর্যবেক্ষকদের ধারণা ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স, যেমনি প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সময় নিয়ে তা তুলে ধরেছেন, সেনেটর হারিস সেই সুযোগটি নিতে পারেন নিI তবে শালীণতাপূর্ণ বিতর্কটি মোটামুটি উপভোগ্য হয়েছিলI