জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে ড. কামালের গাড়ি রাখা ছিল। তিনি যখন গাড়িতে বসতে যাচ্ছেন তখন হঠাৎ একদল লোক গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করতে শুরু করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে মারধর করা হয়। কয়েকজন টিভি সাংবাদিকও আহত হন। ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আব্দুর রবের গাড়িসহ ৭-৮টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এ ঘটনার জন্য স্থানীয় এমপি আসলামুল হক ও তার বাহিনীকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী লীগের সহায়তায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী, নেতা-কর্মীর ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। যা কী না একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অন্তরায়। কামাল হোসেন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ড. কামাল বলেন, তারা কেন ভুলে যাচ্ছে কেউ-ই চিরস্থায়ী নয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেন ঘটনার পর পরই জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে প্রশ্ন করায় বিরক্ত হয়ে বলেন, শহীদ মিনারে এসেছো, শহীদদের কথা চিন্তা করা উচিত। কোন চ্যানেল থেকে এসেছো? চিনে রাখবো। চুপ করো “খামোশ” !
এই খামোশের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলার কথা উল্লেখ না করে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, খামোশ বললেই মানুষ খামোশ হবে না। ড. কামালকে জবাব দিতে হবে তিনি কেন যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন?
ওদিকে কুমিল্লা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় পুলিশের বাধায় অন্তত ৩টি পথসভা হয়েছে।