অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কাজাখ নেতার ঘোষণা: রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনী সেনা সরিয়ে নেবে


রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রেস সার্ভিস প্রকাশিত এই ছবিতে, সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা শান্তিরক্ষীরা কাজাখস্তানের আলমাটিতে, একটি এলাকা পাহারা দিচ্ছে। মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রেস সার্ভিস প্রকাশিত এই ছবিতে, সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা শান্তিরক্ষীরা কাজাখস্তানের আলমাটিতে, একটি এলাকা পাহারা দিচ্ছে। মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২।

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ আজ মঙ্গলবার জানান, রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনী মধ্য এশিয়ার দেশটিতে তাদের মিশন সমাপ্ত করার দুদিন পর সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে। অশান্ত দেশটির শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দিতে এসব সেনারা দেশটিতে আসে।

এই বাহিনী চারটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাদল নিয়ে গঠিত যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন––সিএসটিও) শান্তি মিশনের একটি অংশ। প্রেসিডেন্ট টোকায়েভের অনুরোধে তাদের কাজাখস্তানে নিয়োজিত করা হয়েছিল।টোকায়েভ দেশটির অশান্ত পরিস্থিতির জন্য বিদেশি সমর্থিত সন্ত্রাসীদের দোষারোপ করেছেন।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় গত ২ জানুয়ারি এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদকারীরা জ্বালানির দাম দ্বিগুন হওয়ায় প্রতিবাদে শামিল হন। এই বিক্ষোভ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে খারাপ এক গণ-অসন্তোষে রূপ নেয়।

এই গণ বিক্ষোভে কয়েক ডজন সাধারণ নাগরিক ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা নিহত হন। বিক্ষোভ চলাকালে প্রতিবাদকারীরা সাবেক রাজধানী আলমাটির সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। গত সপ্তাহে এই বিক্ষোভ দমন হওয়ার আগে কিছু সময়ের জন্য তারা বিমানবন্দর অবরোধ করে রাখে।

এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ছড়িয়ে পড়ায়, অনেক রাজনৈতিক সমীক্ষকের ধারণা, স্বাধীনতা লাভের পর থেকে স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে থাকায় জনগণের ব্যাপক অসন্তোষের প্রতিফলন হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট টোকায়েভ সরকার ও সংসদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘সিএসটিও মিশনের সেনারা সফলতার সঙ্গে মিশন সমাপ্ত করেছে।’

তিনি জানান, দুই দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার শুরু এবং ১০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।

এছাড়া টোকায়েভ দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলীখান স্মাইলভের কথাও ঘোষণা করেন।

কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র দপ্তর আজ মঙ্গলবার জানায়, বিক্ষোভ চলাকালে নয় হাজার ৯০০ জনকে আটক করা হয়। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হামলায় জড়িত ৩৩৮টি অপরাধের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

[এই প্রতিবেদনের কিছু অংশ বার্তা সংস্থা এএফপি ও এপি থেকে নেয়া]

XS
SM
MD
LG