অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বায়োপসি’র জন্য খালেদা জিয়ার নমুনা সংগ্রহ, সার্জিক্যাল আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া- ফাইল ফটো- এএফপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া- ফাইল ফটো- এএফপি

শরীরে দেখা দেওয়া লাম্প কতটা ক্ষতিকর তা নির্ণয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। এই নমুনা বায়োপসি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ৭২ ঘন্টা পরে বায়োপসি রিপোর্ট হাতে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আজ দুপুরে সার্জিক্যাল আইসিইউতে খালেদা জিয়ার এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সন্ধ্যায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে দিনভর উৎকন্ঠা ছিলো। বিকালে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার ভাই শামীম এস্কান্দার ও পুত্রবধু শর্মিলা রহমান সিঁথি কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, ম্যাডাম সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তিনি বিপদমুক্ত।"

অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, "বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীরের এক জায়গায় ছোট একটা লাম্প আছে। এই লাম্প ক্ষতিকর কি না তা জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন ছিল। তাই বায়োপসি করতে তাকে সার্জিক্যাল আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন। তার সমস্ত শারীরিক পরীক্ষার অন্যান্য সূচকগুলো স্থিতিশীল আছে। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন।"

অধ্যাপক জাহিদ আরও বলেন, "বেগম জিয়ার বয়স হয়েছে ৭৬ বছর। আরও যেসব জটিলতা রয়েছে, তা মাথায় রেখে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে একটা অ্যাডভান্স সেন্টার প্রয়োজন রয়েছে বলে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মতামত দিয়েছে।"

বায়োপসির প্রতিবেদন কবে নাগাদ হাতে আসে জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, "বায়োপসির ফলাফল পেতে ৭২ ঘন্টা থেকে শুরু করে অনেক সময় ১৫ থেকে ২১ দিন সময় লাগে। কাজেই অপেক্ষা করতে হবে।"

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "বেগম জিয়ার পরিপূর্ণ চিকিৎসায় পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। দুর্ভাগ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সেই অধিকারটুকুও সরকার দেয়নি। এ জন্য আইনগত কোনো বাঁধা আছে বলে আমরা মনে করি না। কারণ, জামিন পাওয়া তার অধিকার, এটা কোনো দয়া নয়। সরকারের উচিত, অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার। খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা যদি না পায় তার জন্য সরকারকেই শতভাগ দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।"

উল্লেখ যে, গত ১২ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG