অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পুনরায় লকডাউন শুরু


আটদিন বিরতির পর শুক্রবার সকাল থেকে আবার ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
আটদিন বিরতির পর শুক্রবার সকাল থেকে আবার ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।

আটদিন বিরতির পর শুক্রবার সকাল থেকে আবার ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। শিল্প কারখানা বন্ধ। গণপরিবহন বন্ধ। লঞ্চও চলাচল করছে না। রাজধানীতে অল্প কিছু রিকশা চলছে। তবে ভাড়া মাত্রাতিরিক্ত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম নিজেই স্বীকার করেছেন আগের দু' সপ্তাহের লকডাউন তেমন একটা কাজে আসেনি। শুধু সীমান্ত জেলায় সংক্রমণ কমেছে।

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী টিকা নিয়ে কোনো সুখবর জানাতে পারেননি। ১৮ই জুলাই দিল্লি গিয়েছিলেন টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে। এক সপ্তাহ পর শুক্রবার সকালে আখাউড়া সীমান্তে পৌঁছে সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কোনো খবর নেই। কবে টিকা আসবে এর সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখও বলা যাবে না। তবে টিকার উৎপাদন বাড়ছে। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করেছিল। মাত্র ৭০ লাখ ডোজ দেয়ার পর ভারত আচমকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ এক ডোজ দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। ৪২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষ দুই ডোজ দিয়েছেন। ভারতে টিকার ঘাটতি এবং সেখানে প্রচন্ড সংক্রমণের কারণে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর বাংলাদেশ চীনের শরণাপন্ন হয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করে। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে তিন দফায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৬ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল শনিবার জাপান থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসছে।

করোনার দাপট বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। আগে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ টনের চাহিদা ছিল। এখন ২০০ টনে পৌঁছেছে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, সংক্রমণের উর্ধগতিতে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে কিনা তা এখনো বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

ওদিকে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৬ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৩৬৪ জন। ঈদের ছুটি থাকায় টেস্ট কম হয়েছে । এজন্য সংক্রমণ ও মৃত্যু হারও কমেছে। সর্বশেষ একদিনে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৭০৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৪৯৩ টি।

XS
SM
MD
LG