অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নতুন রোডম্যাপ, ৮ দিন বিরতির পর আবার ১৪ দিনের লকডাউন


করোনার অস্বাভাবিক সংক্রমণের মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে নয়া একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, ১৪ই জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩শে জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। এই আটদিন অবশ্য সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ২৩শে জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত নতুন করে কার্যকর হবে কড়া লকডাউন। এসময় মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। এবার ব্যতিক্রম হচ্ছে, এই ১৪ দিনের কড়া লকডাউনের সময় পোশাকসহ সব শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে। গত বছরের ৮ই মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সে সময় পোশাক কারখানা ছিল খোলা। প্রথম দিকে ধাক্কা খেলেও অল্পদিন পরেই পোশাক কারখানা ঘুরে দাঁড়ায়। নতুন করে অর্ডার আসতে থাকে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তিন হাজার ১৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। যা কিনা গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। বিজিএমইএ'র হিসেবে দেশে দুই হাজার ৩০০ পোশাক কারখানা চালু আছে। তবে সব মিলিয়ে পোশাক কারখানা সাড়ে তিন হাজারের বেশি বলে মনে করা হয়। এসব কারখানায় অন্তত ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করে।

করোনার সংক্রমণ রুখতে নানা বিধিনিষেধের মধ্যেই আটকে ছিল দেশ। কিন্তু সংক্রমণ থামেনি। গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. আবু জামিল ফয়সাল বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এই সংবাদদাতাকে বলেন, কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। সাধারণ ছুটি, বিধিনিষেধ, কড়া বিধিনিষেধ সবকিছুই ব্যর্থ। সংক্রমণ চুড়ায় উঠেছে। তার ধারণা, আটদিনের বিরতিতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দৈনিক মৃত্যুর দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া ও ভারত। ইন্দোনেশিয়ায় সর্বশেষ একদিনে ৮৯১, রাশিয়ায় ৭১০ এবং ভারতে ৪৯৫ জন মারা যান। বাংলাদেশে একদিন আগে মারা যান ২৩০ জন।

সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯৮ জন। এ সময় মারা গেছেন ২০৩ জন।

XS
SM
MD
LG