মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে আজ আমাদের বিশেষ সম্পাদকীয়।
অন্যান্য দেশের মত, যুক্তরাষ্ট্রও প্রতি বছর সামরিক বাহিনীর যে সদস্যরা দেশকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান দেন। এটি একটি প্রাচীন প্রথা। অ্যাথেন্সের এক রাষ্ট্রনায়ক Pericles এক ভাষণে যেমন বলেছিলেন যুদ্ধে যারা হতাহত হন তারা যোগ্য পুরুষ, তার কথায় “ জীবিতদের জন্য তার চাইতে বড় কোন সাহসিকতার চেতনা আর হতে পারে না।”
সোমবার ২৫মে মেমোরিয়াল ডে’তে আমেরিকার সর্বত্র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একই চেতনায় ভাষণ দেওয়া হবে এবং কয়েক মুহুর্তের জন্য নিরবতা পালন করা হবে।
Flanders Fields এ পপি ফুলের মতো দেশের বহু সামরিক সমাধিক্ষেত্রে সমাধিগুলোতে ছোট ছোট পতাকা দেখা যাবে। আর তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে যাবেন এবং তাদের স্মরন করবেন।
আনুষ্ঠিকতার পাশাপাশি যে আমেরিকানরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জীবনের চরম মূল্য দিয়েছেন, এই দিনটি জীবিত আমেরিকানদের সেই ঋণ পরিশোধের প্রতিক। এদের কেউ মারা গেছেন যুদ্ধে, কেউ বা রোগের শিকার হয়ে। অনেকে হারিয়ে গেছেন বিদেশী কারাগারে, আর কোনদিন ফিরে আসেননি। তাদের অধিকাংশই মারা গেছেন খুব অল্প বয়সে। তারা দেশের আদর্শ ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এত অল্প বয়সে মারা গেছেন যে সে বয়সে তারা ওই সব আদর্শ পুরোপুরি উপলব্ধিও করতে পারেননি। উত্তর আফ্রিকা, ইউরোপ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে লক্ষ লক্ষ সৈনিক লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্যদের মুক্ত করার জন্য।
Memorial Day কোন বিশেষ লড়াই বা যুদ্ধ কে সম্মান প্রদর্শনের জন্য নয়। এর অর্থ বিরত্বের স্মৃতিসৌধের বাইরে ব্যাপৃত। বরং এই দিনটি এক বেচে থাকা কৃতজ্ঞ জাতির কৃতজ্ঞতার নিদর্শন। আর স্বাধীনতা রক্ষায় আত্মত্যাগ যে বৃথা যায়নি এই দিনটি তারই স্বীকৃতি।