অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নিদারুণ সংকট এবং বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের প্রায় ৬ লাখ অভিবাসী শ্রমিক


বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের প্রায় ৬ লাখ অভিবাসী শ্রমিক নিদারুণ সংকট এবং বিপাকে পড়েছেন। এর মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি নারী কর্মীও রয়েছেন। আর ২০২০ সালে এই করোনার কারণে কমপক্ষে ৬ লাখের মতো অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশী জনশক্তি বিদেশে চাকরি নিয়ে যেতে পারেননি। এমনই এক প্রেক্ষাপটে ১৮ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, দেশি-বিদেশী নজরদারী সংগঠন এবং কর্তৃপক্ষীয় হিসেব অনুযায়ী, এ বছরে করোনার কারণে কমপক্ষে ৪০ হাজারজন নারী কর্মীসহ কমপক্ষে সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা ৪ লাখেরও অনেক বেশি। এছাড়া করোনার ঠিক আগে এবং পরে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন ২ লাখের মতো বাংলাদেশী জনশক্তি এবং এদের মধ্যে হাজার পঞ্চাশেক শুধুমাত্র ফেরত যেতে পেরেছেন। বাকীদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে বলা হয়েছে, ১ লাখের মতো অভিবাসন প্রত্যাশী পাসপোর্ট, ভিসাসহ সব আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় যেতে পারছেন না। এর ওপরে করোনার দ্বিতীয় দফা বিস্তার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক এনজিও ব্র্যাকের অভিবাসন ও অভিবাসী ইউনিটের প্রধান শরিফুল হাসান।


দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকরা নিদারুণ দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতাও মিলছে না বলে বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকগণ বলছেন। আর এ নিয়েই বিশ্লেষণ করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর প্রধান অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী।
বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকগণ বলছেন, বিদেশে পুরানো জনশক্তি বাজারের অনুসন্ধান এবং সেসব দেশে জনশক্তি প্রেরণে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। সাথে সাথে দেশে ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রণোদনা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করা জরুরি।

XS
SM
MD
LG