অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীর পুর্নবাসন ও স্থায়ী রাজনৈতিক আশ্রয়ের আহবান


ইউরোপীয়ান কমিশন প্রধান JEAN-Claude Juncker, এক লাখ ৬০ হাজার উদ্ভাস্তুকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ২৮ টি রাষ্ট্রে পুর্নবাসন এবং ভবিষ্যৎ সংকটের সাথে তাল মেলাতে স্থায়ী রাজনৈতিক আশ্রয়ের কৌশল নির্ধারনের আহবান জানিয়েছেন। ব্যাপক অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সংকট মেকাবেলায় Brussels সবশেষ কি করছে, তা লন্ডন থেকে Henry Ridgwell এর প্রতিবেদন শোনাচ্ছেন সেলিম হোসেন ও তাওহিদুল ইসলাম।

সরাসরি লিংক

ইউরোপের আইন প্রনেতারা Brussels এ জড়ো হলেও, ইউরোপমুখী উদ্ভাস্তুদের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার গ্রীক দ্বীপগুলো থেকে ২৫ হাজার অভিবাসীকে মুল ভূখন্ডে নেয়া হয়েছে। তবে অভিবাসী প্রত্যাশীর মোট সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছেছে।

বুধবার ইউনিয়নে দেয়া আবেগঘন ভাষনে ইউরোপীয়ান কমিশন প্রধান JEAN-Claude Juncker বলেন,

“উদ্ভাস্তুদের সংখ্যা হৃদয়স্পর্শী।এ জন্য তারা দ্বন্দে লিপ্ত। কিন্তু এখন দ্বন্দে অংশগ্রহনের সময় নয়। এখন সময় হচ্ছে—ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সদস্য রাষ্ট্র ও এর প্রতিষ্ঠান গুলোর দৃঢ় ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহনের।“

গ্রীস, ইটালী এবং হ্যাঙ্গেরী জানিয়েছে, নতুন করে আসা উদ্বাস্তুদের সংখ্যা নিয়ে তারা বিহ্বল। ইউরোপীয়ান কমিশন প্রধান বলেন,

“আমরা দ্বিতীয় জরুরি কৌশলের প্রস্তাব করতে যাচ্ছি, যাতে ইটালী, গ্রীস এবং হ্যাঙ্গেরী থেকে ১লাখ ২০ হাজার উদ্বাস্তুকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। এটা বাধ্যতামুলক উপায়ে করা হবে।“

Juncker উদ্ভাস্তু সংকটের কারন প্রতিহত করার ব্যবস্থা ঘোষনা করেছেন।তিনি বলেন---

“আফ্রিকার সাহেল এবং লেক চাদ অঞ্চলের সংকট নিরসনে ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের তহবিল থেকে ২০০ কোটি ডলার মূল্যমানের ১৮০ কোটি ইউরোর একটি জরুরী ট্রাষ্ট ফান্ড করা হচ্ছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদী স্থিতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেত চাই”।

ডুবে যাওয়া অভিবাসিদের ভয়ংকর চিত্র ইউরোপকে দ্রুত এ ধরণের ব্যাবস্থা নেয়ার জন্যে উদ্যোগী করেছে। এ্যমনেষ্টী ইন্টারন্যাশনাল বলেছে শরনার্থীরাদেরকে এ ধরনের ভয়াবহ ঝুঁকি নেওয়া রুখতে ইউরোপীয়ন ইউনিয়নকেই ব্যাবস্থা নিতে হবে।

“সমগ্র ইউরোপে আমরা বলছি অন্তত ৩ লক্ষ পুনর্বাসন ক্ষমতা রয়েছে। অইভবাইসন ও শরনার্থী সংকট ছাড়াও রয়েছে মানবিক ভিসা- পারিবারিক পূনর্মিলন”।

তিতি বলেন, এ্যামনেষ্টি বলছে ইউরোপের আশ্রয় প্রার্থনার প্রক্রিয়ার সংস্কার পয়োজন।

“শরনার্থীদের সমস্যা নিয়ে শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী দেশসমূহ চিন্তা করবে বা ঐ সমস্যা শুধু তাদের এমন মনোভাব পাল্টাতে হবে। একটি গুরুত্বপূর্ন প্রস্তাব দিতে চাই, তা হচ্ছে, শরনার্থী হিসাবে চিহ্নিত হবার পর- তাদের চলাচলের স্বাধীনতা থাকার মতো পরিবেশ দেখতে চাই”।

শরানার্থীদরকে ভাগাভাগি করে নবেয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছ। বুধবার ইরাকী ও সিউরিয়ান শরনার্থীদেরকে জার্মানী থেকে ফ্রান্সে নেয়া হয়েছ। তবে বৃটেন এবং বেশ কয়েকটি পূর্ব ইউরোপিয়ন দেশ শরনার্থী পূনর্বাসনের বাধ্যতামুলক কোটার বিরোধীতা করেছে।

XS
SM
MD
LG