চাপের মুখে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল
জার্মানিতে এক আঞ্চলিক ভোটে হেরে গিয়ে প্রচ- চাপের মুখে পড়েছে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সরকার। মার্কেল নিজেও এক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে। কারণ, মেকলেন বার্গ হচ্ছে মার্কেলের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা। মার্কেল বিরোধীরা শরণার্থী হটাওÑ এই সেøাগান সামনে রেখেই নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছিল। তারা দায়ী করছিল মার্কেলের উদার অভিবাসন নীতিকে। তাদের কথা, মার্কেলের নীতি জার্মানি ও ইউরোপকে ধবংস করে দিবে। ভোটের ফলাফলে মার্কেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন তৃতীয় স্থানে চলে গেছে। উত্থান ঘটেছে অভিবাসন বিরোধী হিসেবে খ্যাত অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের। ইউরোপ জুড়ে দক্ষিণপন্থীদের যে উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে জার্মানির এই ফলাফল তাদের আরও উৎসাহিত করবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে মার্কেল চতুর্থবারের মতো প্রার্থী হবেন কি-না এটা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি। তবে এএফডির উত্থান তাকে যে দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মাত্র তিন বছর আগে ইউরোপ বিরোধিতাকে পুঁজি করে এএফডির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর মধ্যে তারা দেশব্যাপী নয়টি রাজ্য পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে। দলটির কো-লিডার ফ্রাউক পেট্রি রোববারের নির্বাচনকে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পরাজয় বলে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, জার্মানির জনগণ মার্কেলের অভিবাসন নীতিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে উদার অভিবাসন নীতি জার্মানি ও ইউরোপকে কিভাবে ধবংস করে দিচ্ছে। তাই তারা সরকারকে, এই ভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। স্থানীয় নির্বাচনে হেরে গেলেও মার্কেলের সরকার চালাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ফলাফল জার্মানির রাজনৈতিক ইতিহাসকে বদলে দিবে।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট: