ভোট উৎসবে বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে গেছে। বোঝার কোনো উপায় নেই এদেশে কখনো করোনা ছিল বা রয়েছে। পৌরসভা ভোটে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সকাল থেকেই। যাদের মুখে কোনো মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বও উপেক্ষিত। সারাদেশের চিত্র প্রায় একই। স্থানীয় সংবাদদাতাদের বরাতে যেসব খবরা-খবর আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসার, নিরাপত্তাকর্মী কারো মুখেই মাস্ক নেই। অথচ নির্বাচন কমিশন এ সম্পর্কে ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এটা ঠিক, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে করোনার দাপট অনেকখানি কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৩ জন। যদিও বিশেষজ্ঞরা আগাগোড়াই বলে আসছেন, টেস্ট কম তাই সংক্রমণও কম। ভোট উৎসবের চিত্র দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না? গত মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কোভিডের কারণে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। তবে অটোপাসের আইন পাস হয়েছে। শনিবার অটোপাসের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করেন। এই অটোপাসের মধ্যেও গতবারের চেয়ে তিনগুণ বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন। গতবার পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। এবার পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। অথচ জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন এমন ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী এই তালিকায় নেই। পরীক্ষা ছাড়া যেখানে গণপাস, সেখানে গতবার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ না পেয়েও ১৭ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন।
উল্লেখ্য, অটোপাসের বৈধতা দেয়ার জন্য আগেই সংসদে আইন পাস হয়। পরীক্ষার ফল নিয়ে বিরুপ মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর ৩ লাখ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ওদিকে নেতিবাচক প্রচারণা ও অজ্ঞতার কারণে টিকা রেজিস্ট্রেশনে মানুষজন আগ্রহী হচ্ছেন কম। এরমধ্যে গুগলের অনুমতি ছাড়াই ২৭শে জানুয়ারি অ্যাপ চালু করা হয়। যা নিয়ে অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ১৩ হাজার ৮৫০ জন মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছেন।