পর্যবেক্ষকরা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় জর্জরিত রোহিঙ্গাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ মিয়ান্মার অবজ্ঞা করে আসছে। তারা বলেন এ রকম আশংকা দেখা দিয়েছে যে দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার এই সরকার কার্যত রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানোর চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত গত জানুয়ারি মাসে মিয়ান্মারকে এই বলে আদেশ দিয়েছিল যে দেশটি যেন তাদের সাধ্য অনুযায়ী সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাতে রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠির বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো প্রতিহত করা যায়। ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের মুখে তাদের অনেকেই পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলে যায়। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের ঐ আদেশে মিয়ান্মারকে বলা হয়েছিল তারা যেন চার মাসের মধ্যে আদালতকে জানায় আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে তারা কি ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং তার পর ছ মাস পর পর তারা এ ব্যাপারে হালনাগাদ প্রতিবেদন জমা দেয়। আদালত গত মাসেই তাদের প্রথম প্রতিবেদনটি পায় তবে এর বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন অবস্থার তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
এদিকে কভিড ১৯ এর সংক্রমণের কারণে মিয়ান্মার দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনে জনগণের চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেখানেই প্রায় চার লক্ষ রোহিঙ্গা বসবাস করে। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ান্মারের প্রকৃত রাষ্ট্রপ্রধান সাবেক বিরোধী নেত্রী আওন সান সূ চি ‘র সুনাম ক্ষুন্ন করেছে । আদালতের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগেই জানানো হয় যে মিয়ান্মার রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করেই হত্যাকান্ড চালিয়েছে যাকে গণহত্যা বলা যায়।