অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি বিষয়ক সার্কুলার নিয়ে তুমুল সমালোচনা


জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

আগামী ১৭ জানুয়ারি যৌন হয়রানি নিয়ে কাউন্সেলিং সেশনের আয়োজন করেছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। সেই উপলক্ষে যে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, "মেয়েদের জানা উচিত কীভাবে পুরুষ ও নারী বন্ধুদের মধ্যে সীমারেখা টানতে হয়।"

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের দাবি, ওই সার্কুলারের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যৌন হেনস্থার জন্য মেয়েরাই দায়ী। কারণ তারা পুরুষ ও নারী বন্ধুদের মধ্যে সীমারেখা টানতে জানে না।

ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইটে ওই সার্কুলার আপলোড করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল কমপ্লেইনটস কমিটি। তাতে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে যৌন হেনস্থা নিয়ে কাউন্সিলিং হবে। সার্কুলারে একটি পরিচ্ছদের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে 'কেন এই কাউন্সেলিং সেশন প্রয়োজনীয়'। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের সময় এবং প্রতিটি অ্যাকাডেমিক ইয়ারের শুরুতেও ওই ধরনের কাউন্সেলিং করা হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, "আইসিসি জানতে পেরেছে, বহু ক্ষেত্রে ছাত্রীরা যৌন হেনস্থার জন্য ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নামে অভিযোগ করেছেন। ছাত্ররা অনেক সময় বন্ধুসুলভ মজা করা এবং যৌন হেনস্থার তফাৎ বোঝে না। মেয়েদের বুঝতে হবে পুরুষ ও নারী বন্ধুদের মধ্যে পার্থক্য আছে। তবেই এই ধরনের হেনস্থা এড়ানো যাবে।" শেষে বলা হয়েছে, যৌন হেনস্থার ঘটনায় 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়ে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়।

সার্কুলারে দাবি করা হয়েছে, চলতি অ্যাকাডেমিক ইয়ারে বেশ কয়েকটি যৌন হেনস্থার মামলায় দোষীরা শাস্তি পেয়েছে। যে ছাত্রছাত্রীরা জানতে চায়, যৌন হেনস্থার ব্যাপারে কী করা উচিত ও কী করা উচিত নয়, তাদের জন্য কাউন্সেলিং সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জানা উচিত, যৌন হেনস্থা কাকে বলে। তার কী প্রভাব পড়ে। জেএনইউ-এর আশা, ওই ধরনের কাউন্সেলিং-এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্থার ঘটনা অনেক কমবে।

জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ বলেন, "জেএনইউ-এর ইন্টারনাল কমপ্লেইনটস কমিটি যৌন হেনস্থার জন্য মেয়েদেরই দোষ দিতে চায়। তাই তাদের বলা হয়েছে, পুরুষ বন্ধু ও নারী বন্ধুদের মধ্যে পার্থক্য জানতে হবে।"

সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠনের সেক্রেটারি মধুরিমা কুণ্ড বলেছেন, "জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি বরাবরই তাদের রিপোর্টে ভুক্তভোগীকেই দায়ী করেছে। এখন তারা ভুক্তভোগীকেই বলছেন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সংবেদনশীলতার উপর কাউন্সেলিং নিতে।"

XS
SM
MD
LG