মহাকালের নিয়মে পার হল আরো একটি বছর। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। পালিত হচ্ছে নববর্ষ। নতুন বছর সকলের জীবন শুভ হোক। আমাদের স্রোতাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।
নানা উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতসহ সারা বিশ্বের মানুষ স্বাগত জানাচ্ছেন খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০১৪কে। ব্যাপক না হলেও বাংলাদেশও উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিধি নিষেধ মাথায় রেখেই এবার ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে, রাতের আকাশে রংবেরঙ্গের আলোর ঝলকানি আর নতুন আশায় বুধ বেধে সর্বপ্রথম ২০১৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া এবং হংকং। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশকিছু দেশ ইমিধ্যেই আলোর খেলা সঙ্গীত আর নানা উৎসব মুখরতায় স্বাগ জানালেন ইংরেজী নববর্ষ।
নববর্ষের উৎসবে অকল্যান্ডের আকাশের আলোর নৃত্যে আলোকিত হয় রাজপথ। সিডনীতে প্রাঞ্জল আলোকশয্যা উপভোগ করেন দশ লক্ষাধিক মানুষ
এছাড়া ইংরেজী নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান চলছে লন্ডন ও মস্কোয়। প্রস্তুত নিউইয়র্কসহ যুক্তরাস্ট্রের বিভিন্ন শহর। টাইমস্কোয়ারের ঐতিহ্যবাহী বল ড্রপ দেখতে নিউইয়র্কে জড়ো হতে শুরু করেছেন হাজারো মানুষ। দুবাই আশা করছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আতশবাজী হচ্ছে এবার তাদের ইংরেজী নববর্ষের আয়োজনে।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে জাপানীরা নুডল আর সীফুড খাওয়ার মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের সৌভাগ্য কামনা করছেন। তারা বিশেষ প্রার্থনা করছেন বৌদ্ধ মন্দিরসমূহেও।
কিছুদিন আগে ফিলিপাইনে ঘুর্নিঝড় হাইয়ানে ছয় সহস্রাধিক মানুষ নিহত হওয়া, নববর্ষের উৎসব শুরুর আগে আতশবাজী সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় ২৬০ জন আহত হওয়ায় সেখানে চলছে ভাবগম্ভীর পরিবেশ।
কেপ টাউনসহ দক্ষিন আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে এবার ইংরেজী নববর্ষকে পালন করা হচ্ছে আবেগঘন পরিবেশে বিশ্ব বর্ণ-বৈষম্যবাদবিরোধী প্রতীক নেলসন ম্যান্ডেলার প্রয়াণকে স্মরণের মধ্য দিয়ে।