মিশর, ইথিওপিয়া এবং সুদানের প্রতিনিধিরা নীলনদের উপর নির্মিত গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ নির্মান এবং এর পানি ব্যাবহার বা বন্টনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
ওয়াশিংটনে দু'দিনের বৈঠকের পর, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রত্যেকটি দেশের প্রযুক্তিগত ও আইনী দল একটি চূড়ান্ত চুক্তি করার বিষয়ে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতারা চূড়ান্ত চুক্তিটি পর্যালোচনা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রী স্টিভেন মুনুচিন বলেছেন, "বিশ্বব্যাংকের প্রযুক্তিগত সহায়তায় আমেরিকা এমাসের শেষের দিকে চূড়ান্ত চুক্তিটি প্রস্তুত করতে পারবে যদি সংশ্লিষ্ট দেশের মন্ত্রী এবং রাষ্ট্র প্রধানরা চুক্তির বিষয়ে সম্মত হন।"
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বর্তমানে অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া এবং সেনেগাল সফর করছেন এবং তিনি নিবিড়ভাবে এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
৪ বিলিয়ন বা ৪’শো কোটি ডলারের গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ার রেনেসাঁ বাঁধটি আফ্রিকার ইতিহাসের সর্ব বৃহত অবকাঠামোগত একটি প্রকল্প। ইথিওপিয়া আশা করছে ২০২২ সালের মধ্যে ঐ প্রকল্প সম্পন্ন করতে পারবে। এবং সেখান থেকে ৬হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদিত হবে এবং এর কিছুটা তারা রফতানিও করতে পারবে।
তবে বাঁধের কারণে নীল নলের জল-প্রবাহে কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে মিশর ও সুদান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মিশর তাদের প্রয়োজনের ৯0 শতাংশ নীল নদীর পানির উপরে তারা নির্ভরশীল।