অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথমবার পার্ল হার্বার মেমোরিয়াল সফর


জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে তাঁর বৈঠকের আগে, সোমবারেই পার্ল হারবার স্মৃতিসৌধের অনেক ক’টিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন- ১৯ শ’ ৪১ সালে ওখানটায় জাপানের হামলায় যে ২৪ হাজার মানুষের প্রাণ বিনাশ হয়েছিলো তাঁদের স্মরণে।

এই প্রথম জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রী ঐ স্মৃতিসৌধে গেলেন নিহতদের স্মরণে। তবে তাঁর সঙ্গের সফর-অনুগামী দলের সদস্যবৃন্দ একথা অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন- ঐ যে হামলার সূত্র যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধে সংশ্লিষ্ট করেছিলো সে আক্রমন অভিযানের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা কিন্তু তাঁর সফরের লক্ষ নয়। ঐ যুদ্ধের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে এ দু’দেশের- যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সম্পর্কের অভ্যুদয় ঘটলো কিভাবে সেটা দেখানোই ছিলো উদ্দেশ্য এর।

জাপান ত্যাগের আগে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ ক’রে বলেছিলেন- যুদ্ধের ধংসলীলার পুনরাবৃত্তি কখনোই আমাদের করা উচিত নয়। বলেন- প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে মিলে বিশ্বকে আমি এ প্রত্যয়ের কথাটা জানিয়ে দিতে চাই-বলতে চাই সমঝোতার মূল্যবোধের কথা।

প্রধানমন্ত্রী আবে National Memorial Cemetery of the Pacific স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন ক’রে মৌন প্রার্থনায় ব্রতী হন। ওখানটাতেই সমাধিস্ত রয়েছে সামরিক বাহিনীর সদস্যবৃন্দের দেহাবশেষ – রয়েছে দেহাবশেষ তাঁদেরও দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন যাঁরা।

মে’ মাসে প্রেসিডেন্ট ওবামা হিরোশিমা সফরে গিয়েছিলেন। ওখানেই ১৯ শ’ ৪৫ সালে এ্যামেরিকান বাহিনী বিশ্বের প্রথম এ্যাটোম বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলো – যাতে, প্রাণ হারিয়েছিলো আনুমানিক এক লক্ষ চল্লিশ হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট ওবামাই হিরোশিমা সফরকারি এ্যামেরিকার প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন নেতা।

XS
SM
MD
LG