যুক্তরাষ্ট্রে ছ দিনের ঐতিহাসিক সফরে মঙ্গলবার দুপুরে পোপ ফ্রান্সিস ওয়াশিংটনের অদূরে Joint Base Andrews এসে পৌঁছেছেন।
শেফার্ড ওয়ান নামে পোপের বিমানটি স্থানীয় সময়ে ঠিক ৩টা ৪৯ মিনিটে মেরিল্যান্ডের শহরতলীর ঐ বিমান ঘাঁটিতে অববতরণ করে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক।সা করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা , ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা , তাঁদের দুই কন্যা এবং অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তা।
কোমরে হলদে রঙ্গের বাঁধনসহ কালো রঙ্গের দীর্ঘ পোষাক পরিহিত ধর্মীয় যাজকরাও পোপকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত জানান। শত শত লোক পাশে অলিন্দে দাঁড়িয়ে তাঁকে দর্শন করেন।
বিমানের সিঁড়িতে নেমে আসলে , পোপ ফ্রান্সিস পোপ ফ্রান্সিস বলে লোকজন আনন্দে ফেটে পড়ে। তার পর গাড়ি বহরে পোপকে ওয়াশিংটনে ভ্যাটিকানের কুটনৈতিক মিশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
শত শত লোক করতালি দিয়ে গান গায় , স্কুলের ছেলেমেয়েরা , যুক্তরাষ্ট্র , ভ্যাটিকান এবং আর্জেন্টিনার ছোট ছোট পতাকা নেড়ে তাঁকে স্বাগত জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি শহরে পোপের সফরে ওয়াশিংটন হচ্ছে প্রথম শহর। তিনি এর পর নিউ ইয়র্ক এবং ফিলেড্যালফিয়ায় ও যাবেন।
ফ্রান্সিস চার দিনের কিউবা সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। ভৌগলিক কেবল নয় , প্রতীকি অর্থেও তাঁর এই সফরসূচী তাৎপর্যপূর্ণ। সাবেক শীতল যুদ্ধের সময়কার প্রতিপক্ষ এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ব্যাপারে ফ্রান্সিস গোপনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বুধবার পোপ হোয়াইট হাউজে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর আতিথ্য করবেন।
বৃহস্পতিবার তাঁকে কংগ্রেসের যৌথ সভায় ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পোপের ভাষণ দেওয়ার কথা। শনিবার সকালে তিনি ফিলেড্যালফিয়ায় যাবেন এযখানে সপ্তাহান্তে তিনি World Meeting of Families.‘এ যোগ দেবেন।