পোপ ফ্রান্সিস যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ওয়াশিংটনে শরতের রোদ ঝলমলে সকালে ঠিক ভয়েস অফ আমেরিকার স্টুডিও ও সদর কার্যালয়ের সামনে দিয়েই নিজস্ব ফিয়াট গাড়ীতে চড়ে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গেলেন।
সাবরিনা, ওই সময় কিন্তু আমি আর সেলিম Independence আর 3rd street এর কোনায় অন্য শত শত মানুষের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলাম। পোপের মোটরগাড়ীর আগে নিরাপত্তা ও অন্য মোটরবহরের রঙীন কাঁচ তোলা তবে পোপে তার জানালার কাঁচ নামিয়ে হাসিমুখে সবার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছিলেন।
চমৎকার, খুব ভাল লাগছে শুনে অন্ততঃ আপনারা তো দেখলেন পোপকে। তা হলে এবার পোপের ভাষণের বিবরণ শোনা যাক।
হ্যাঁ তাই । আমার সঙ্গে টেলিফোনে যোগ দিচ্ছেন ডঃ জিল্লুর রহমান খান।
ভাষণের শুরুতে পোপ বললেন, ‘কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আপনারা, আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলের এই মহাদেশ তথা বিশ্বের নাগরিক হিসেবে সবারই একটা দায়িত্ব রয়েছে’। তিনি সেই দায়িত্ব পালনের কথাই তুলে ধরলেন।
পোপ ন্যায্যতা ও শান্তির কথা বললেন। পৃথিবীতে রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে অন্যায্যতার কথা উল্লেখ করেন । ন্যায় অন্যায় বোধ, প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও তা রক্ষা করার কথা বলেন। অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতার কথা বলেন।
বিপুল করতালির মাঝে পোপ ফ্রান্সিস উল্লেখ করেন যে এই মহাদেশে অর্থাৎ উত্তর আমেরিকায় বেশীরভাগ মানুষ অন্য কোন দেশ থেকে এসেছেন। তারা ছিলেন বিদেশী এদেশে এসে তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
পোপ সঠিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করা। সঠিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই আমরা টেকসই ব্যবস্থা নিয়ে অগ্রগতি লাভ করতে পারি।