রানা প্লাজা ধ্বসের ৫ম বার্ষিকীতে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন বলেছে, যে কোন মূল্যে সকল শ্রমিকের নিরাপদ কর্মস্থল তৈরীর চলমান সকল প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সম্পর্কে ঢাকা থেকে নাসরিন হুদা বিথীর রিপোর্ট।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রানা প্লাজায় গার্মেন্টস শ্রমিক নিহতদের সন্তানদের আলোক বর্তিকা প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে যে কোন মূল্যে সকল শ্রমিকের নিরাপদ কর্মস্থল তৈরির চলমান সকল প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার দাবী জানান জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেসন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ ভবন ধ্বসের ঘটনা ঘটে। সাভারে রানা প্লাজা নামে ভবনটিতে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা ছিল। এতে নিহত হয় ১১৩৮ জন শ্রমিক এবং আহত হয়েছিল প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক।
মোমবাতি প্রজ্জলনের আগে শ্রমিক নেতারা বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন। একই পরিবারের তিনজন উপার্জনক্ষম লোকদের হারিয়ে এখন নিঃস্ব তাদের মা।
শ্রমিকরা তাদের বক্তব্যেনুন্যতম ১৬০০০ টাকা বেতন বাড়ানোর দাবী জানান। শ্রমিকরা এও বলেন- “আমরা কাজ করতে এসে লাশ হয়ে ফিরে যেতে চাইনা”।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন তার বক্তব্যে বলেন- “সরকারের দায়িত্ব প্রত্যেকটি শিল্পকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা আছে কিনা তা নিশ্চিত করা”।