ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার এই সিদ্ধান্তে , ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রদের হতাশ করেছে। ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেনের নেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেন । ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে এই চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা বলেছে। মনে করা হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে ইসরাইলই হচ্ছে এক মাত্র দেশ যাদের পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে কিন্তু তারা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল সম্পর্কে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন তেহরান এই বহুজাতিক চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে রুহানি বলেন ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামনের সপ্তাগুলোতে আলোচনা করার জন্য আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রককে আদেশ দিয়েছি। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যদি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারি যে সকল দেশের সহযোগিতায় ঐ JCPOA চুক্তি থেকে আমরা লাভবান হবো , তা হলে এই চুক্তি বহাল থাকবে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যাঁর প্রশাসন এই সমঝোতায় পৌঁছুতে নিবিড় আলোচনা করেছে , ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ভুল পথে পরিচালিত বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে সতর্ক করে দেন, বলেন আমার মনে হয় যে ইরানের তরফ থেকে ঐ চুক্তি লংঘন না করা সত্বেও এই চুক্তিকে ঝুঁকিতে ফেলা একটি মারাত্মক ভুল।