অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহবান


সেলিম হোসেন

দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঐসব দেশের সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে; বললেন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ‘প্রোমোটিং রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইন সাউথ এশিয়া শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা। সেলিম হোসেন জানাচ্ছেন বিস্তারিত।

সরাসরি লিংক

ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ‘প্রোমোটিং রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইন সাউথ এশিয়া শীর্ষক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্র দফতরেরর আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাম্বাসেডর ডেভিড এন স্যাপারষ্টিন বললেন দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে; বিশেষ করে পাকিস্তান ভারত বাংলাদেশ শ্রীলংকা ও্ নেপালে হুমকী ও ঝুকির মুখে পড়েছে। ওইসব দেশে সংঘাত সহিংসতা বহুমুখী রূপ ধারণ করেছে। ফলে সেখানে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে দেশগুলোর সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্যাগী হতে হবে; আন্তরিক প্রয়াস চালাতে হবে।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ওইসব দেশের সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার ওইসব দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সংখ্যালঘুদের অধঘিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির যেনো উন্নতি করা সম্ভব হয়”।

বাংলাদেশে ২০১৪ সালে কিছু সংখ্রালঘূ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, হিন্দু, আহমেদিয়া ও শিয়া মুসলমান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয় তুলে ধরে; এ্যাম্বাসেডর ডেভিড এন স্যাপারষ্টিন বলেন এগুলো বেশ উদ্বগের বিষয়। ব্লগার লেখক সাংবাদিক হত্যায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার ও লেখকদেরকে নির্মমভাবে খুন হওয়ার বিষয় ভীষন উদ্বেগজনক এবং তা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারেরর উচিৎ জড়িত অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে বিচারেরর ব্যাবস্থা করা”।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে এ সব বিষয় নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: “ঢাকায় আমাদের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকার, নাপগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবি সমাজ, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে কিভাবে দেশটিতে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায় এবং মানবাধিকর পরিস্থিতি আরো উন্নত করা যায়”।

তিনি বলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবমা আন্তরিকভাবে চান তা নিশ্চিত হোক।

তিনি বলেন দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর সরকার সমূহের উচিৎ এ বিণষয়ে জতিয় নীতিমালা প্রনয়ন করার। কারন ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অবস্থা প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেখানে যা ঘটছে তা ঠিক নয়; রোহিঙ্গা মুসলমানদের অধিকার নিশ্চিত করা উচিৎ”।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের দক্ষিন এশিয়া বিষযক সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিজের সঞ্চালনায় আলোচনায় আংশ নেন পাকিস্তানের সাবেক সংসদ সদস্য ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিষয়ক বইয়ের লেখক ফারাহনাজ ইস্পাহানি, পাকিস্তানের সাবেক আরেক সাংসদ ও ব্লিডিং ফর বিলিফের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ রফিক, হাউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া এ্যাডভোকেসি পরিচালক জন শিফটন এবং হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়ান ষ্টাডিজ সেন্টারের গবেষণা সহযোগি আলিভিয়া ইনোস।

XS
SM
MD
LG