অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা নিধন যজ্ঞের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে


২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নিধন যজ্ঞের এক বছর। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপারেশন ক্লিয়ারেন্স জন্ম দেয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এক মানবিক সংকটের। পাল্টে যায় বৈশ্বিক শরণার্থীর হিসাব। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এগিয়ে আসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বাংলাদেশের কক্সবাজারে ৩০টি ক্যাম্পে আশ্রয় হয় প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার। জীবন বাঁচানোর মতো ত্রাণ এবং মানবিক সেবা দেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। বছর শেষে অধিকার ও ন্যায় বিচারের কথা ভাবছেন রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের পর গত ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও শুরু হয়নি। কবে থেকে শুরু হবে- তাও অনিশ্চিত। ক্যাম্পে প্রতিদিনই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে প্রায় ১৩০ জন শিশু। ক্যাম্পের আকার এবং সংকট দু’টিই যেন বাড়ছে। কক্সবাজারের পরিবেশ, পর্যটন ও স্থানীয় অধিবাসীদের উপর বেড়ে চলেছে রোহিঙ্গা শরণার্থী চাপ। সঠিক পরিকল্পনা নেয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরামের কো-চেয়ার রেজাউল করিম চৌধুরী।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যে প্রত্যাশা ছিল এর তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গাদের জন্য এখনও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি মিয়ানমারে। যদিও রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে রাখাইনে নির্মাণ করা হয়েছে লোক দেখানো ট্রানজিট ক্যাম্প। বাস্তবে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমার। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ মেয়াদে সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা সংকটে গঠিত জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন আইএসসিজি’র মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস।
রোহিঙ্গা প্রত্যবাসনে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি করতে চালানো হচ্ছে তৎপরতা। সহসা প্রত্যাবাসন না হওয়ায় কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া করছে সরকার। তবে যেখানেই আশ্রয়ে থাকুক না কেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
আনান কমিশনের রিপোর্টকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটি চূড়ান্ত দিক নির্দেশনা। রিপোর্টটি বাস্তবায়ন হোক; কিংবা সমাধান হোক রোহিঙ্গা সমস্যার। বছর শেষে এমনটাই প্রত্যাশা রোহিঙ্গাদের।

XS
SM
MD
LG