অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে একমত হয়েছে তিন দেশ


চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং চীনের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে একমত হয়েছে ওই তিন দেশ। মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক দেড় ঘণ্টার ওই মিটিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব এবং সমমানের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আগে প্রত্যাবাসন সহায়ক এবং যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়েও মোটামুটি ঐক্যমত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গ্রামভিত্তিক নাম যাচাই-বাছাই অর্থাৎ ভেরিফিকেশন এবং প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে মিয়ানমার এ প্রশ্নে ইতিবাচক কোন জবাব দেয়নি।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলকে মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুকদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেয়া হলে-মিয়ানমার এবং চীন এতে সম্মত হয়েছে। ভার্চুয়াল মিটিং শেষে ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে যুক্ত রাখার বিষয়ে এক প্রস্তাবে চীন ও বাংলাদেশ এতমত হলেও মিয়ানমার সম্পূর্ণভাবে ইতিবাচক কোন জবাব দেয়নি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে ত্বরান্বিত করতে ফেব্রুয়ারিতে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক, এরপরে পর্যায়ক্রমে পররাষ্ট্র সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিন দেশ একমত হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রভাববলয় সৃষ্টির প্রচেষ্টার কারণেই রোহিঙ্গা প্রতাবাসনে চীন ইতিবাচক ফলাফল দেখাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

XS
SM
MD
LG