অক্টোবরে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব মধ্য নভেম্বরে প্রথম দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে বৈঠকে গ্রহীত এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। বৈঠকে প্রথম দফায় মিয়ানমার আট হাজার রোহিঙ্গাকে গ্রহণে রাজি বলে জানানো হয়েছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে, ৪৮৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে দিয়েই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এখন বলছেন, মধ্য নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কবে শুরু হবে তার দিনক্ষণও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। প্রত্যাবাসন শুরুর প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরসহ জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে। তাদের একটি চিঠি দিয়ে অবহিত করার কথা অবশ্য বলছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ মানবিক সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি এখনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যথাযথ ও উপযুক্ত নয়। এমত পরিস্থিতিতে প্রথম দফার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুসহ প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর প্রাক্তণ কর্মকর্তা আসিফ মুনীর।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর প্রতিবেদন।