বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে লক্ষ লক্ষ লোক প্রাণ হারিয়েছেন , তাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি ও ছিলেন যারা ছিলেন দেশের চিন্তক সমাজের অন্তর্ভুক্ত, যাদের মন ও মনন আমাদের সমৃদ্ধ করেছিল। বিজয়ের বিয়াল্লিশ বছর পর , রাত পোহালেই যখন শহহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ , তখন আজ তেমনি দু জন শহীদের সন্তান আমাদের সঙ্গে টেলি সম্মিলনী লাইনে যোগ দিয়েছেন । শহীদ ডা আলিম চৌধুরীর কন্যা , ডা নুজহাত চৌধুরী এবং শহীদ মুণির চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনির ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাঁরা দু জনই অত্যন্ত ছোট ছিলেন। শহীদ ডা আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা নুজহাত চৌধুরী মনে করেন যে তাঁর বাবাকে হত্যার পেছনে কারণ যেমন ছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা তেমনি স্বাধীন বাঙালি জাতিকে সম্পুর্ণ ভাবে বুদ্ধিজীবিহীন একটি জাতিতে পরিণত করা। তিনি বলেন যে এই সব বুদ্ধিজীবিদের এক ধরণের ভিশন ছিল , ছিল স্বপ্ন এবং দূরদৃষ্টি , অতএব বাংলাদেশকে তাঁদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করাও ছিল ঘাতক আল-বদর , আল-শামস ও রাজাকারদের উদ্দেশ্য । দেশটিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয় , জাতির বিরুদ্ধে , দেশের বিরুদ্ধে অন্যায় ।
শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর ড নুজহাত চৌধূরীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন যে বুদ্ধিজীবিদের হত্যার পেছনে একটা গভীর চক্রান্ত ছিল এবং এর জন্যে পাকিস্তান বাহিনীর এ দেশীয় দোষররা দায়ী। যারা শহীদ হয়েছেন , তাঁরা প্রত্যেকেই জানতেন যে তাঁদের জীবন বিপন্ন হতে পারে কারণ তাঁদের বিশ্বাস ও আদর্শের জন্যে তাঁরা যে কোন সময়ে টার্গেট হতে পারেন। কিন্তু তাঁরা এ সম্পর্কে কখনই ভীত ছিলেন না।
মাত্র গতকাল, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্যে কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলো। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রসঙ্গে ডা নুজহাত চৌধুরী মনে করেন যে তাঁরা আনন্দিত এবং বিস্মিত যে অন্তত একজন যুদ্ধাপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন ৪২ বছর ধরে শহীদ-স্বজনরা দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন বিচারের দাবিতে । তিনি বলেন যে ’৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর দেশ চলেছে উল্টোদিকে। যুদ্ধাপরাধীদের কেউ কেউ মন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রী , প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ডা নুজহাত চৌধুরী ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে বলেন , “ আমরা আমাদের বাবার রক্তে রাঙানো পতাকা দেখেছি খুনিদের গাড়িতে। এই বিচার সকলের প্রাণের দাবি ছিল। তবে তিনি বলেন যে এ ধরণের বিচার বন্ধের জন্যে দেশের ভেতরে ও বাইরে চক্রান্ত চলছে, জল ঘোলা করা হচ্ছে । তিনি আরও বলেন যে শহীদ সন্তানরা জানেন যে স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ ট্রাইবুনালে এদের বিচার হচেছ।
আসিফ মুনীর বলেন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া চলছে হয়ত ভবিষ্যতেও চলবে। সে ক্ষেত্রে কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে একটি নতুন স্তরে উন্নীত হলো গোটা ব্যাপারটা। তিনি বলেন যে শহিদ পরিবার থেকে শুরু করে দেশপ্রেমিক বাঙালিরা যে দাবি করে এসছেন বিচার অনুষ্ঠানের সেখানে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে এটা ও মনে রাখা দরকার যে সামনের দিনগুলোতে বাকী রায়ে কিংবা আরও যারা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত তাদের ব্যাপারে ট্রাইবুনাল তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারবে কী না এবং যে সব যুদ্ধাপরাধী বিদেশে রয়েছে , তাদের ব্যাপারেও যেন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকার ও ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাঁরা দু জনই অত্যন্ত ছোট ছিলেন। শহীদ ডা আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা নুজহাত চৌধুরী মনে করেন যে তাঁর বাবাকে হত্যার পেছনে কারণ যেমন ছিল বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা তেমনি স্বাধীন বাঙালি জাতিকে সম্পুর্ণ ভাবে বুদ্ধিজীবিহীন একটি জাতিতে পরিণত করা। তিনি বলেন যে এই সব বুদ্ধিজীবিদের এক ধরণের ভিশন ছিল , ছিল স্বপ্ন এবং দূরদৃষ্টি , অতএব বাংলাদেশকে তাঁদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করাও ছিল ঘাতক আল-বদর , আল-শামস ও রাজাকারদের উদ্দেশ্য । দেশটিকে মেধাশূন্য করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয় , জাতির বিরুদ্ধে , দেশের বিরুদ্ধে অন্যায় ।
শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর ড নুজহাত চৌধূরীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন যে বুদ্ধিজীবিদের হত্যার পেছনে একটা গভীর চক্রান্ত ছিল এবং এর জন্যে পাকিস্তান বাহিনীর এ দেশীয় দোষররা দায়ী। যারা শহীদ হয়েছেন , তাঁরা প্রত্যেকেই জানতেন যে তাঁদের জীবন বিপন্ন হতে পারে কারণ তাঁদের বিশ্বাস ও আদর্শের জন্যে তাঁরা যে কোন সময়ে টার্গেট হতে পারেন। কিন্তু তাঁরা এ সম্পর্কে কখনই ভীত ছিলেন না।
মাত্র গতকাল, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্যে কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলো। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রসঙ্গে ডা নুজহাত চৌধুরী মনে করেন যে তাঁরা আনন্দিত এবং বিস্মিত যে অন্তত একজন যুদ্ধাপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন ৪২ বছর ধরে শহীদ-স্বজনরা দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন বিচারের দাবিতে । তিনি বলেন যে ’৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর দেশ চলেছে উল্টোদিকে। যুদ্ধাপরাধীদের কেউ কেউ মন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রী , প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ডা নুজহাত চৌধুরী ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে বলেন , “ আমরা আমাদের বাবার রক্তে রাঙানো পতাকা দেখেছি খুনিদের গাড়িতে। এই বিচার সকলের প্রাণের দাবি ছিল। তবে তিনি বলেন যে এ ধরণের বিচার বন্ধের জন্যে দেশের ভেতরে ও বাইরে চক্রান্ত চলছে, জল ঘোলা করা হচ্ছে । তিনি আরও বলেন যে শহীদ সন্তানরা জানেন যে স্বচ্ছ আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ ট্রাইবুনালে এদের বিচার হচেছ।
আসিফ মুনীর বলেন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া চলছে হয়ত ভবিষ্যতেও চলবে। সে ক্ষেত্রে কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে একটি নতুন স্তরে উন্নীত হলো গোটা ব্যাপারটা। তিনি বলেন যে শহিদ পরিবার থেকে শুরু করে দেশপ্রেমিক বাঙালিরা যে দাবি করে এসছেন বিচার অনুষ্ঠানের সেখানে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে এটা ও মনে রাখা দরকার যে সামনের দিনগুলোতে বাকী রায়ে কিংবা আরও যারা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত তাদের ব্যাপারে ট্রাইবুনাল তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারবে কী না এবং যে সব যুদ্ধাপরাধী বিদেশে রয়েছে , তাদের ব্যাপারেও যেন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকার ও ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে।