অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় নাগোরনো-কারাবাখে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলো


আর্মেনীয় এবং আজারবাইজানিদের মধ্যে স্থানীয় সময় আজ দুপুর থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর ফলে অন্তত অস্থায়ী ভাবে হলেও বিচ্ছিন্ন এলাকা নাগোরনো-কারাবাখে মারাত্মক সংঘাত থেমে গেছে। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে তাদের বলে দাবি করছে। উভয় পক্ষেরই সরকারী সুত্রগুলো, অস্ত্রবিরতির মাত্র ঘন্টা কয়েক আগেই দাবি করে যে, তাদের প্রতিপক্ষ অসামরিক এলাকায় ক্ষেপনাস্ত্র এবং রকেট নিক্ষেপ করেছে। মস্কোতে দশ ঘন্টা ধরে আলোচনার পর আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান নাগোরনো -কারাবাখে অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয়। এই চুক্তির ফলে উভয় পক্ষই বন্দি বিনিময় এবং নিহতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হবে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরফ, যিনি এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছেন, বলেন যে অস্ত্রবিরতির ফলে এই সংঘাতের নিস্পত্তির জন্য আরও আলোচনার পথ খুলে গেল। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে আসা লড়াইয়ের পর, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় মিলিত হন।

গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট প্রচুর সংখ্যক অসামরিক লোকের হতাহত হবার কথা উল্লেখ করে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। ব্যাচেলেটের দপ্তর থেকে বলা হয় যে, ২৭ শে সেপ্টেম্বর লড়াই শুরু হবার পর থেকে তাঁরা এক অসমর্থিত খবরে জানতে পেরেছেন যে শিশুসহ সেখানে ৫০ জনেরও বেশি অসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। তাছড়া প্রায় ৪০০ জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে এবং হাজার হাজার লোক তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

XS
SM
MD
LG