অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কানাডা ও সৌদি আরবের কুটনৈতিক বিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব


যুক্তরাষ্ট্র, তার ঘনিষ্ঠ দুটি মিত্র দেশ কানাডা ও সৌদি আরবের মধ্যকার কুটনৈতিক বিবাদে নিজেকে জড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মানবাধিকার সক্রিয়বাদীকে আটক করায়, কানাডা সৌদি আরবের সমালোচনা করার পর , উভয় দেশ নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রী হেদার নয়ার্ট মঙ্গলবার বলেন যে উভয় দেশকে একত্রে কুটনৈতিক ভাবে এ সমস্যার নিস্পত্তি করতে হবে। আমরা তাদের পক্ষে সেটা করতে পারিনা। নয়ার্ট অবশ্য বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এই গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সৌদিদের কাছ থেকে আরো তথ্য জানতে চাইবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সোদিদের যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে বলেছে।

কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি জানিয়েছে যে সৌদিরা যেন সামার বাদাওয়ী এবং অন্যান্য শান্তিবাদী মানবাধিকার কর্মিদের মুক্তি দেয় যাদেরকে ঐ রক্ষনশীল রাজতন্ত্রে তাদের তৎপরতার জন্য কারারুদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদি সরকার কানাডাকে তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য দোষারোপ করে । তারা কানাডায় তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় এবং রিয়াদে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। রীয়াদ সরকার কানাডায় অধ্যয়রত ষোল হাজার সৌদি শিক্ষার্থিকে দেশে ফিরে আসার আদেশ দিয়েছে। তারা টরন্টোর সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে এবং কানাডার কোম্পানগুলোর সঙ্গে নতুন সব ব্যবসা স্থগিত করেছে। বাদাওয়ীর ভাই রায়েফ ২০১২ সাল থেকে সৌদি জেলে বন্দি রয়েছেন এবং একটি ব্লগে ইসলাম ধর্মের অবমাননার জন্য তাঁকে ১০০০ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। তিনি এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার পুরস্কার শাখারফ পুরস্কার পেয়েছেন। রায়েফ বাদাওয়ীর স্ত্রী ও তিন সন্তান কিউবেকে থাকে এবং তারা সকলেই গত মাসে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছে।

XS
SM
MD
LG