বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের বিস্তার বাড়তে থাকায় তা ঠেকাতে সরকার সোমবার থেকে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন অসংখ্য মানুষ।
শুক্রবার এই লক ডাউনের ঘোষণা দেয়ার পর এবং তা আরও বাড়তে পারে এমন আশংকায় শনিবার সকাল থেকেই মানুষ পায়ে হেটে এবং বিভিন্ন যানবাহনে করে তাঁদের গন্তব্যের দিকে ছুটতে শুরু করেছেন। দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত এবং আশপাশের জেলা সমুহে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানির সন্নিকটে কয়েকটি জেলাতে সংক্রমনের হার বাড়তে থকায় ২২ শে জুন থেকে ঢাকায় যাতায়াতের সব ধরনের দূর পাল্লার গনপরিবাহন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তারপরও লক ডাউন শুরুর আগেই গ্রামের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য ছুটছেন মানুষ।
তাঁদের ভাষ্য লক ডাউনের মধ্যে আয়-রোজগার সংকটের শঙ্কায় তাঁরা বাড়ি ফিরছেন। তবে তাঁদের অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না যার ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মোস্তাক হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন সংক্রমন যত বেশি ছড়িয়ে পড়বে মৃত্যুর হারও অনুপাতিক হারে বাড়বে। তিনি সংক্রমণ বিস্তার রোধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানিয়েছেন আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক টিকা সরবরাহ কর্মসূচি কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ ২৫ লাখ ডোজ মডার্না ভ্যাকসিন পাবে। এটি হবে কোভ্যাক্সের কাছ থেকে আসা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান। অপরদিকে, আজ সরকারের দেওয়া তথ্য মোতাবেক দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ৭৭ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৩৪ জন।