কসোভো ও সার্বিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নিজেদের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে গতকাল ওয়াশিংটনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দু দিনের আলোচনার পর এই চুক্তিপত্রে আরও রয়েছে ইসরাইল ও কসোভোর মধ্যে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পরিকল্পনা এবং ইসরাইলে বেলগ্রেডের দূতাবাস জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়া। হোয়াইট হাউজের এই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও ঐ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন, “সহিংস ও দুঃখজনক ইতিহাস এবং বহু বছরের ব্যর্থ আলাপ আলোচনার পর আমার প্রশাসনই এই বিভাজন দূর করার একটি নতুন উপায় প্রস্তাব করেছে”।
ট্রাম্প বলেন, “চাকরি সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে দুটি দেশ এই বড় রকমের অর্জনে সমর্থ হয়েছে”। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ভূচিচ এবং কসভোর প্রধানমন্ত্রী আভদুল্লাহ হোতি এই সমঝোতাকে সামনের দিকের একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে এর প্রশংসা করেন। ভূচিচ বলেন, “ রাজনীতির কথা বললে, আমরা এখনো আমাদের সমস্যার সমাধান করিনি। এখনও আমাদের মধ্যে প্রচুর মতভেদ রয়েছে। কিন্তু এটি সামনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপণ”।
ভূচিচ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বলেন, “ আমি আবারও আপনার প্রতি এবং আপনার জনগণের প্রতি গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ যে আপনি সফল ভাবে আমাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। আজ আমরা যা স্বাক্ষর করেছি তাতে অনেক বিষয় বলিনি তবে আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা গোটা বলকান এলাকায় একটি অভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চলেছি। হোতি এই সমঝোতাকে বিশাল অর্জন বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে এটি স্বভাবতই কসোভোর জন্য এবং গোটা অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তিনি আরও বলেন, “ আমার মনে হয় আমাদের সম্পর্ক সম্পুর্ণ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে আমরা একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছি, যার ফলে দুটি দেশ পরস্পরকে স্বীকৃতি দেবে”। তিনি এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।