অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ কোরিয়া স্বদেশে নির্মিত প্রথম রকেট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে


দক্ষিণ কোরিয়ার নরো স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাডে দেশীয়ভাবে নির্মিত প্রথম মহাকাশ রকেট 'নুরি' কে দেখা যাচ্ছে। অক্টোবর ২১, ২০২১।
দক্ষিণ কোরিয়ার নরো স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাডে দেশীয়ভাবে নির্মিত প্রথম মহাকাশ রকেট 'নুরি' কে দেখা যাচ্ছে। অক্টোবর ২১, ২০২১।

দক্ষিণ কোরিয়ার মহাকাশ সংস্থা বৃহস্পতিবার দেশীয়ভাবে নির্মিত প্রথম রকেট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে। তবে তা ১.৫ টনের ডামি পেলোড কক্ষপথে রাখতে ব্যর্থ হয়।

কোরিয়া অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (কেএআরআই) ৪৭ মিটারের নুরি বা বিশ্ব নামে পরিচিত রকেটটি নরো স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপিত হয়ে আকাশে যাবার ভিডিও সরবরাহ করেছে। দেশটির দক্ষিণ উপকূলের একটি ছোট দ্বীপে নরো স্পেস সেন্টার অবস্থিত এবং তা দেশটির একমাত্র স্পেসপোর্ট।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান মন্ত্রী লিম হাই-সুক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, রকেটের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়গুলো সঠিকভাবে পৃথক হয়েছে এবং তৃতীয় পর্যায়টি পৃথিবী থেকে ৭০০ কিলোমিটার উপরে পেলোড (স্টেইনলেস স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি ব্লক) বের করে দেয়।

কিন্তু তিনি বলেন, উৎক্ষেপণের তথ্য থেকে জানা যায় যে তৃতীয় পর্যায়ের ইঞ্জিন ৪৭৫ সেকেন্ড পরে পুড়ে যায়, যা পরিকল্পনার চেয়ে ৫০ সেকেন্ড কম। ফলে তা পেলোডকে কক্ষপথে স্থিতিশীল হবার জন্য যথেষ্ট গতি দিতে ব্যর্থ হয়।

উৎক্ষেপণস্থলে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন পরীক্ষাটিকে একটি চমৎকার সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কর্মসূচীতে দেশটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি জানান, মহাকাশ সংস্থার পরবর্তী ধাপে ২০২২ সালের শুরুতে আরও পাঁচটির মত পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে।

কোরিয়ান উপদ্বীপে দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে উৎক্ষেপণ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ সেখানে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া কৌশলগতভাবে এখনও যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া )

XS
SM
MD
LG