দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান রক্ষণশীল দল ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যদি তারা আগামী মার্চের প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে আবার জয়ী হয়, তাহলে তারা চীনের প্রতি আরও দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং পররাষ্ট্রনীতিতে মানবাধিকারের উপর আরও গুরুত্ব দেবে।
পরিবর্তনটি সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানাবে। চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার এশিয়ার মিত্র এবং অংশীদারদের জড়ো করার চেষ্টা করছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীলরা আসলেই এই ধরনের নাটকীয় পরিবর্তনের তদারকি করবে কিনা- তা নিয়ে অনেক বিশ্লেষকই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি দেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে সুক্ষ্ম ভারসাম্যমূলক আচরণ করতে হচ্ছে। দেশটি সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। চুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্রতা রয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। চীন দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।
তবে সিউল ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়েছে। দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক ফোরামে দক্ষিণ কোরিয়ার অংশগ্রহণকে প্রসারিত করেছে। যার মধ্যে কিছু ফোরাম থেকে চীনকে বাদ দেয়া হয়েছে বা দেশটির সমালোচনা করা হয়েছে।
তবে উল্লেখ্য যে, মুন সরাসরি হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন বা জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতনের মতো বিষয়ে চীনের সমালোচনা করতে নারাজ।
রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ইউন সিওক-ইউল আরও সরাসরি পদক্ষেপ নেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।