অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তালিবান কাবুলকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে : পেন্টাগনের সতর্ক বার্তা


একজন তালেবান যোদ্ধা আফগানিস্তানের গজনী শহরে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৪ আগস্ট, ২০২১।
একজন তালেবান যোদ্ধা আফগানিস্তানের গজনী শহরে দাঁড়িয়ে আছেন। ১৪ আগস্ট, ২০২১।

তালিবান যোদ্ধারা আফগানিস্তান জুড়ে ঝটিকা আক্রমণ চালাচ্ছে যাতে করে কাবুলকে তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য করা যায়।যুক্তরাষ্ট্রের যে কয়েক হাজার সৈন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে তার প্রথম অংশটি সেখানে যাওয়ার পরও তারা কাবুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার বিকেলে তালিবান কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। আর এর ফলে তালিবানের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে ২০টি প্রাদেশিক রাজধানী বলে জানিয়েছে তালিবান এবং ঐ সব অঞ্চলের অধিবাসীরা। শুক্রবার তালিবান ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক রাজধানীর উপর তাদের বিজয় দাবি করে যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণে কান্দাহার এবং পশ্চিমে হেরাত , দেশটির যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এর একদিন আগেই তারা রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে গুরুত্বপূর্ণ গজনী শহরটি দখল করে নেয়।

পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কার্বি সংবাদাতাদের শুক্রবার বলেন যে শহরটি “এখনই ঠিক তাৎক্ষণিক হুমকির মুখে নেই” তবে যে গতিতে তালিবান এগিয়ে যাচ্ছে তাকে তিনি “গভীর উদ্বেগের” বিষয় বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন “রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলে তারা ঠিক কি করতে চায় সেটা তারাই বলতে পারবে”।এ ভাবেই তারা প্রাদেশিক রাজধানীগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে বড় রকমের রক্তপাত না ঘটিয়েই আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে। অন্যরা কাবুলের পতন সম্পর্কে গ্রহণ করতে নারাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন , “তালিবান এই লড়াইয়ে যেটুকু অর্জন করেছে তাতে তাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমার মনে হয় এর ফলে আফগান বাহিনীর মনোবল বড় রকমের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

তবে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে যে তালিবান কাবুল দখলে কতটা ইচ্ছুক হবে এবং ৩০০০ আমেরিকান সৈন্যের মুখোমুখি হবার ঝুঁকি কি তারা নেবে। কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের এবং সেখানকার হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তার জন্য এই সৈন্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।

পেন্টাগন বলছে ঐ বাহিনীর প্রথম অংশটি, ম্যারিন পদাতিক ব্যাটেলিয়ান শুক্রবার সেখানে গিয়ে পৌছেছে এবং আশা করা হচ্ছে অবশিষ্ট সৈন্যরা সেখানে রোববারের মধ্যেই পৌঁছাবে। কার্বি সংবাদদাতাদের বলেন, “তাদের আত্মরক্ষার অধিকার থাকবে এবং তারা অস্ত্র সজ্জিত থাকবে। আফগানিস্তানে আমাদের সেনাদের উপর যে কোন হামলার যথার্থ এবং দ্রুত জবাব দেওয়া হবে”।

তা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা হুশিয়ার করে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর উপর যে কোন ধরণের হামলার প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযানের মাধ্যমে দমন করা হবে। আর এই আক্রমণ কেবলমাত্র কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি থেকে বোমারু বিমান কিংবা ড্রোনের মাধ্যমে ঘটবে না , বিমান বন্দরে রাখা হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও ঘটবে।

XS
SM
MD
LG