বিতর্কিত ফকল্যান্ড দ্বীপ নিয়ে ফের আর্জেন্টিনা ও বৃটেনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর্জেন্টিনা এই দ্বীপে বৃটেনের সামরিক মহড়ার পরিকল্পনায় কড়া আপত্তি জানিয়েছে।
শুক্রবার আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই বিষয়ে বৃটিশ রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি নোট পাঠিয়েছে। এতে ‘অবৈধ’ এ মহড়া বন্ধ রাখার জন্য বৃটেনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
মাত্র দু’মাস আগে দেশ দু’টি তেল-গ্যাস ও শিপিং বিষয়ে কাজ করার জন্য একমত হয়েছিল। ১৯৮২ সালে এই দ্বীপ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে আর্জেন্টিনার ৬৪৯ এবং বৃটেনের ২৫৫ জন সেনা নিহত হয়।
আগামী ১৯ থেকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত এ দ্বীপে সামরিক মহড়া দেয়ার কথা বৃটেনের। এতে র্যাপিয়ার নামের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার কথা। বুয়েনস আয়ারসে অবস্থিত বৃটিশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ মহড়া তাদের রুটিন কর্মকান্ড। বছরে প্রায় দু’বার এ মহড়া হয়ে থাকে।
কয়েক দশক ধরে বৃটেন পরিচালিত ফকল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে আর্জেন্টিনা। এ দ্বীপটি মালভিনা নামে পরিচিত আর্জেন্টিনায়। তিন হাজার জনসংখ্যার এই দ্বীপটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চান বৃটেনের সঙ্গেই থাকতে। ২০১৩ সালে এ নিয়ে গণভোট হয়। তখন বেশির ভাগ অধিবাসী বৃটেনের সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের সময়ে বৃটেনের সঙ্গে গত বছর সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে পড়ে।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।