জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্মরণ করা হলো ১১৯ জন আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষীকে। যারা জীবন দিয়ে শান্তির পতাকা সমুন্নত রেখেছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছেন ১২ জন। ২০১৮ সনে এই শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালনকালে জীবন দিয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্টিনিও গুয়েটেরেস তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তুলে দেন সম্মাননা পদক। বাংলাদেশ ছাড়াও ২৬টি দেশের ১১৯ জন সামরিক, পুলিশ ও বেসামরিক বীর শান্তিরক্ষীদের মরনোত্তর দগ হ্যামারশোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
৫৮ বছর পূর্বে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব দগ হ্যামারশোল্ড কঙ্গোতে এক প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি কঙ্গোতে চলতে থাকা সংঘাতের ইতি টানতে একটি শান্তি চুক্তি করতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন শান্তির জন্য কাজ করা এক অক্লান্ত ও নির্ভীক বীর। তিনি বিশ্বাস করতেন কূটনীতি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায়। একইসঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী নিতেন শক্তিশালী পদক্ষেপও। তার মৃত্যুর পরেও জাতিসংঘ যে দেশেই শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে তার আদর্শ অনুসরণ করেছে।
বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই পদক গ্রহণ করেন। সম্মাননা দেয়ার সময় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্টিনিও গুয়েটেরেস বলেন, যাদেরকে আমরা সম্মাননা দিলাম তারা আমাদের মধ্যে চির জাগরুক থাকবেন।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ৬ হাজার ৬০০ জন সদস্য বর্তমানে ৯টি দেশে দায়িত্ব পালন করছেন।