ষাটটিরও বেশি সংগঠন বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি ইয়েমেনের ৭ বছর ব্যাপী সংঘাতে ঘোরতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণাদি সংরক্ষণ ও সংগ্রহ করতে একটি তদন্তকারী সংস্থা গড়ার আবেদন জানিয়েছে। এই সব প্রমাণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে সম্ভাব্য যুদ্ধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধI
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কয়েকটি সংস্থা জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যখন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ অক্টোবর মাসে ইয়েমেনে সংগঠিত সহিংসতা তদন্ত বন্ধের জন্য ভোট প্রয়োগ করেI প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞদের একটি গ্ৰুপ জানায়, ইয়েমেনে সকল পক্ষের তরফে সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছেI জেনিভা ভিত্তিক পরিষদের এই ভোট ছিল পশ্চিমি দেশগুলোর জন্য লজ্জাজনক পরাজয় এবং রাশিয়া, চীন, বাহরাইন ও অন্যান্য দেশের কাছে বিজয়স্বরূপI
২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা এবং উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা দখল করে নিলে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়I সেই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ঐ সরকারকে দক্ষিণ অভিমুখে এবং পরে সৌদি আরবে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেI
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট হয়ে ২০১৫ সালের মার্চে একটি সৌদি জোট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবেদ রাব্বো মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় এই যুদ্ধে শামিল হয়I অবিরত বিমান অভিযান এবং স্থলযুদ্ধ অব্যাহত থাকলেও যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, এবং তা বিশ্বের নিকৃষ্টতম এক মানবিক সঙ্কট সৃষ্ট করে।
ষাটটিরও বেশি সংগঠন জানায়, অক্টোবর মাসে মানবাধিকার পরিষদের ভোট প্রদান ছিল জোটের প্রধান এক শরিক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অন্যান্য মিত্রদের সমর্থনপুষ্ট সৌদি আরবের নিরলস লবিং বা তদবিরের ফলাফলI