অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি: জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সমালোচিত


জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ কথা বলছেন। ডিসেম্বর ১৫, ২০২১।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ কথা বলছেন। ডিসেম্বর ১৫, ২০২১।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ইউক্রেন বিষয়ক এক বিতর্কে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বৃহৎ আকারের সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা হয়েছে।

রাশিয়ার একজন কূটনীতিক যখন বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতিনিধি ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জানান।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত ঐ বিতর্কটি ইউক্রেনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ সতর্কতার সঙ্গে, দেশটিতে নাগরিকদের অবাধ জীবন-যাপন এবং মৌলিক স্বাধীনতার বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি, গণমাধ্যমে সমালোচনামূলক মতামতের অবাধ প্রকাশে বাধা দেয়া এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য ইউক্রেন সরকারের সমালোচনা করেন।

এরপর নাদা আল-নাশিফ, রাশিয়ার সরকার সমর্থিত পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। তিনি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকার সমালোচনা করেন এবং অনলাইনে মতামত প্রকাশের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের নির্বিচারে আটক করার নিন্দা করেন।

তবে ঐ বিষয়টি কাউন্সিল অধিবেশনে যোগ দেয়া দেশগুলোর মধ্যে উত্তপ্ত বিতর্কের সূচনা করে।

জেনেভায় জাতিসংঘে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত সাইমন ম্যানলি বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কর্মকর্তা প্যাট্রিক এলিয়ট, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি ওয়াশিংটনের অটুট সমর্থনের নিশ্চিয়তা দিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG