অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে জাতিসংঘের স্থগিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তালিবানের সমালোচনা


তালিবান নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এবং মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং (ফাইল ছবি)।
তালিবান নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এবং মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং (ফাইল ছবি)।

বিশ্ব সংস্থায় কে আফগানিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করার জন্য আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালিবান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সমালোচনা করেছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত তালিবানের স্থায়ী প্রতিনিধি সুহেল শাহীন টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তটি আইনি নিয়ম এবং ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে নেয়া হয়নি, কারণ এতে করে তারা আফগানিস্তানের জনগণকে তাদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে”।

শাহীন লিখেছেন, “আমরা আশা করি, এই অধিকার অদূর ভবিষ্যতে আফগানিস্তান সরকারের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে, যাতে আমরা আফগানিস্তানের জনগণের সমস্যাগুলি কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সাথে সমাধান করতে এবং বিশ্বের সাথে ইতিবাচক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি”।

জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি, যারা প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব অনুমোদন করে, তারা বুধবার রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেছে। তালিবান এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা শাসক পূর্ববর্তী ক্ষমতাচ্যুত সরকারগুলির দূতদের পরিবর্তন করার যে অনুরোধ জানিয়েছিল, সে বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

নয় সদস্যের ওই কমিটির প্রধান, সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আনা কারিন এনস্ট্রোম সদস্যদের রুদ্ধদ্বার আলোচনার পর সাংবাদিকদের বলেছেন, “কমিটি দেশ দুটি’র ক্ষেত্রে তাদের ক্রেডেনশিয়াল দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে”।

এই সিদ্ধান্তের অর্থ হল, তালিবান এবং মিয়ানমারের জান্তাকে আপাতত জাতিসংঘে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা দুই দশকের যুদ্ধের পর, আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর, ইসলামপন্থী তালিবান পশ্চিমা-সমর্থিত পূর্ববর্তী আফগান সরকারের কাছ থেকে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষমতা দখল করে।

অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে।

এই শাসকদের কেউই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি, কারণ উভয়কেই বিশ্বব্যাপী অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

XS
SM
MD
LG