মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতনের কারনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৯৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের একটি নতুন যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
বার্তা সংস্থার খবরে শনিবার এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র অ্যানড্রেজ মাহেচিক শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার দাতাদের নির্ধারিত বৈঠকে এই পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান। ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র বলেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগামী এক বছরের খরচ যোগানোর পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে ২০২১ সালের এই যৌথ সহায়তা পরিকল্পনায়। এই পরিকল্পনায় কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেয়া আট লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর পাশাপাশি তাদের আশ্রয়দাতা চার লাখ ৭২ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের জন্যও সহায়তার কথা বলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অ্যানড্রেজ মাহেচিক বলেন রোহিঙ্গা সঙ্কটের চতুর্থ বছরে শরণার্থীদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিস্তৃত ও টেকসই আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার। তিনি বলেন মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘিরে চলমান সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জটিলতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি অবশ্য বলেছেন রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে পরিস্থিতি অনুকূল হলে কাজ শুরু করা যায়।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণের জন্য ২০২০ সালের যৌথ সহায়তা পরিকল্পনায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি তহবিলের জন্য জাতিসংঘ আবেদন করলেও মাত্র ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ সহায়তা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।