অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর অকাল মৃত্যু : ইউনিসেফ


জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ-এর সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে যে, ২০২০-এর করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়া এবং এক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কমপক্ষে ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর অকাল মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও ওই সময়কালে ১১ হাজার মাতৃমৃত্যুর শংকাও করেছে সংস্থাটি। এই সংখ্যা অন্যান্য রোগ-বালাইয়ে মৃত্যুর অতিরিক্ত। ইউনিসেফ বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা ও নেপালের পরিস্থিতির ওপর ওই গবেষণা চালায়। গবেষণায় সুস্পষ্টভাবে কোন দেশে কত মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তা উল্লেখ করা হয়নি। ইউনিসেফের ওই গবেষণা জরিপকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ সহায়তা করেছে।
ইউনিসেফের ওই জরিপ বলেছে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার ৪২ কোটি শিশু-শিক্ষার্থী করোনার কারণে বন্ধ থাকায় স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে ৯০ লাখের বেশি শিশু শিক্ষার্থীর আর স্কুলে ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ৪৫ লাখ মেয়ে শিশু আর কখনোই স্কুলে ফিরে নাও যেতে পারে।

ইউনিসেফের প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি শংকা ব্যক্ত করা হয়েছে শিশুদের মারাত্মক পর্যায়ের তীব্র অপুষ্টিজনিত শারিরীক সংকটের ব্যাপারে । প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র অপুষ্টিজনিত স্বাস্থ্যসেবা যেসব শিশু বাংলাদেশ ও নেপালে পেয়ে আসছিল, করোনাকালে তাদের ৮০ শতাংশ ওই সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ১ কোটির ওপর ছোট-বড় শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে আছে। করোনার কারণে বেকারত্ব, দারিদ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর যে সংকট প্রকট হয়েছে- তার প্রভাব শিশুদের ওপর ব্যাপকভাবে পড়ছে এবং পড়েছে বলে ইউনিসেফের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়।

XS
SM
MD
LG