অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বেকায়দায়



সিনিয়র মন্ত্রী আম্বার রাডের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আরও বেকায়দায় পড়ে গেছেন। এর আগেই ২১জন এমপি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। জনসনের ভাই জো জনসনও মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর সংকট ঘনীভূত হয়। এর মধ্যে আম্বার রাডের পদত্যাগের খবর কনজারভেটিভ শিবিরকে আরও অস্থির করে তুলেছে। আম্বার রাড তার টুইট বার্তায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জনসন একের পর এক ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা দলের জন্য ক্ষতিকর। রাড বলেছেন, তিনি জানেন না আসলে কে সরকার চালাচ্ছে।

বরিস জনসনের উপর পদত্যাগের চাপ ক্রমেই বাড়ছে, যদিও তিনি বলেছেন নর্দমায় মরে পড়ে থাকবেন তবুও পদত্যাগ করবেন না। এর মধ্যে বেশ কিছু আইনগত দিক নিয়ে জনসনের উপদেষ্টারা শলাপরামর্শ করছেন। বিশেষ করে এমন কোনো আইন করা যায় কিনা যাতে করে এমপিরা দলের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে পারেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এমনটা করলে একটি আইনগত ও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। ব্রেক্সিট বিলম্বিত হোক এটা কোনো অবস্থাতেই মানতে রাজি নন বরিস জনসন। তিনি এখন এই বিষয়টি আদালতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেন জুড়েই যখন টালমাটাল অবস্থা তখন ফ্রান্স জানিয়ে দিয়েছে ব্রিটেন যদি সমঝোতায় না পৌঁছে, ইইউ থেকে বের হতে আরো সময় চায় তাহলে তারা তার বিরোধিতা করবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান অবস্থায় সময় বাড়ানোর বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট নয়, যারা বলছেন তারা কিন্তু নীতিগতভাবে এর বিরোধী নন। তারা জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চাচ্ছেন বিষয়টির সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য। ওদিকে আগাম নির্বাচন হলেও টরি পার্টি খুব যে একটা ভাল করতে পারবে তাও নয়। সাম্প্রতিক উপ-নির্বাচনগুলোতে পরাজয়ের পাল্লাই ভারি। তাছাড়া দলের ভেতরেই অনৈক্যের সুর বেজে চলেছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:06 0:00


XS
SM
MD
LG