অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'ইতিবাচক' আলোচনায় আফগান সম্পদ অবমুক্ত করার দাবি তালিবানের


যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি দূত জালমে খলিলজাদ, (বামে) এবং তালিবান গোষ্ঠীর শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার, কাতারের দোহাতে তালিবান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরে করমর্দন করছেন৷ (ফাইল ছবি)।
যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি দূত জালমে খলিলজাদ, (বামে) এবং তালিবান গোষ্ঠীর শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার, কাতারের দোহাতে তালিবান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরে করমর্দন করছেন৷ (ফাইল ছবি)।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালিবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার কাতারে দুই দিনের এক বৈঠক শেষ করেছে। ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটির প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিমুক্ত করতে এবং তাদের উপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।

আফগানিস্তানে আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছে সাহায্য গোষ্ঠীগুলির ক্রমবর্ধমান আবেদনের মধ্যে আলোচনাটি এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হল, যখন জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে এই শীতে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে৷

আলোচনায় আফগানিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি টমাস ওয়েস্ট, এবং তালিবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি কাতারের রাজধানী দোহায় নিজ নিজ প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন।

তালিবান পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বলখি বলেছেন, দুই পক্ষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং মানবিক বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছে।

তবে আলোচনার ফলাফল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দোহা বৈঠকের প্রারম্ভে ওয়াশিংটন বলেছিল, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে সন্ত্রাসবাদ দমন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ আফগানদের জন্য নিরাপদে দেশ ত্যাগ, মানবিক সহায়তা এবং দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।

আমেরিকান নেতৃত্বাধীন বিদেশী সেনারা ২০ বছর পর সে দেশ থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তালিবান গত আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকারের কাছ থেকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়। তারপর ওয়াশিংটন এবং মিত্র দেশগুলি আফগানিস্তানের উপর থেকে আর্থিক সহায়তা স্থগিত করতে, আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৯৫০ কোটি ডলার সম্পদ জব্দ করে এবং তালিবানের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এছাড়া বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও কাবুলের জন্য আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

বিদেশী উন্নয়ন সহায়তার আকস্মিক ব্যাঘাত, আফগান অর্থনীতিকে অবাধ পতনের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে। আর্থিক খাতের কার্যত দম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যারা রয়েছেন তারা সহ সরকারি কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না, এবং বাণিজ্য কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

তালিবান সতর্ক করেছে যে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আফগান সম্পদ অবমুক্ত করা না হলে, গভীরতর অর্থনৈতিক সংকট বিশ্ববাসীর জন্য ব্যাপক হারে অভিবাসন এবং শরণার্থী সমস্যা সৃষ্টি করবে।

অন্তর্ভুক্তি এবং মানবাধিকারের অভাব এবং ‘এর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগের কারণে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারকে এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি।

XS
SM
MD
LG